• মথুরা বিল সংস্কার শুরু, হবে মাছচাষ থেকে পর্যটনকেন্দ্রও
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শেষ প্রান্তে রয়েছে মথুরা বিল। এটি নৈহাটি, হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া এলাকার জল ধরে রাখে। বিলের দৈর্ঘ্য সাড়ে আট কিলোমিটার, প্রস্থ দেড় কিলোমিটার। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধার ঘেঁষে কাঁপা মোড় সংলগ্ন ওই বিল বহুদিন পর সংস্কার করা হচ্ছে। মাছচাষ করা এবং ইকো পার্কের মত পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য। এজন্য শুরু হয়েছে বিল থেকে বালি তোলার কাজ। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যতটা কেটে বালি তোলার কথা, তার থেকে অনেক বেশি গভীর করে বালি তোলা হচ্ছে। এর ফলে কল্যাণীর এইমস হাসপাতালের দিকে যাওয়ার ব্রিজের পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

    স্থানীয় পাল্লাদহ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বালি তোলার পদ্ধতি নিয়ে এই প্রশ্ন উঠেছে। পাল্লাদহ গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান বক্স বলেন, মথুরা বিলে সাড়ে তিন মিটার গর্ত করে মাটি বা বালি তোলার নির্দেশ ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, কুড়ি ফুট গর্ত করে বালি তোলা হচ্ছে। এমনকী মেশিন লাগিয়ে বালি টেনে তোলা হচ্ছে। এর ফলে এইমস হাসপাতালে যাওয়ার জন্য যে ব্রিজ হয়েছে, তার পিলারের সামনে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, পিলার দুর্বল হচ্ছে। আমরা আর মাটি কাটতে দেব না। এরকম হলে এই বিল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে। কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জল ধারণ করে এই বিল।

    শাহজাহান বক্সের মতো অন্যান্য বাসিন্দারাও মথুরা বিলে বালি তোলার পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে বাসিন্দাদের সেই বক্তব্য মানতে নারাজ ঠিকাদার সংস্থার প্রধান মনোজ দাস। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই মাটিকাটা হচ্ছে। সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা মাঝেমধ্যেই সরজমিনে দেখতে আসছেন। ব্রিজের পিলারের বিপদ হতে পারে, এমন কিছুই করা হচ্ছে না। এদিকে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিকাদার সংস্থাকে ডেকে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, সরকারি ইঞ্জিনিয়াররা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)