দুর্ঘটনায় পরপর মৃত্যু, ক্যাব-বাসচালক ও কনডাক্টরদের নিয়ে বৈঠক নিউটাউনে
বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বাইকের ধাক্কায় পথচারী এবং বাসের ধাক্কায় আইটিকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু। মাত্র একদিনের ব্যবধানে পরপর দু’টি দুর্ঘটনায় নিউটাউনে মৃত্যু দু’জনের। সে ঘটনার জেরে বাড়ল পুলিশি তৎপরতা। দুর্ঘটনা এড়াতে নিউটাউন ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে বাসচালক, কনডাক্টর এবং ক্যাব চালকদের নিয়ে বৈঠক করল পুলিশ। গতি নিয়ন্ত্রণ, রেষারেষি বন্ধ, ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানো প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে চালকদের। সেই সঙ্গে শহরের নির্দিষ্ট বাস স্টপ থেকে যাত্রী তোলা-নামানো করার বিষয়েও চালক ও কনডাক্টরদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনে গাড়ির চাপ অত্যধিক। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তা চওড়া থাকায় আগে অনেকে ‘রানওয়ে’র মতো ভেবে উচ্চগতিতে গাড়ি-বাইক চালাতেন। বর্তমানে নিউটাউনে স্পিড ক্যামেরা বসানোর ফলে গতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। কারণ শুধু গতি নয়। নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানো এবং নিয়ম না মেনে রাস্তা পারাপার করার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুই সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববাংলা গেট থেকে বলাকার দিকে যাওয়ার মূল রাস্তার উপর বাইকের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। চার সেপ্টেম্বর বিশ্ববাংলা গেটের সামনে সরকারি বাসের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক আইটি কর্মীর। তিনি স্কুটারে অফিস যাচ্ছিলেন। বাসটি পিছন থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনা রুখতে শনিবার নিউটাউন ট্রাফিক গার্ড অফিসে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে নিউটাউনের ট্রাফিক অফিসারদের সঙ্গে নবদিগন্ত ট্রাফিক গার্ডের অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। কারণ নিউটাউনের সঙ্গে নবদিগন্ত বা সেক্টর ফাইভের পাশাপাশি অবস্থান। বেশিরভাগ রুটের বাসই নিউটাউন-সেক্টর ফাইভ হয়ে যাতায়াত করে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, বাসগুলি বাস স্টপে দাঁড়ানোর পরও যেখানে যেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে। যাওয়ার সময় আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ে। তাতে পিছনে থাকা গাড়ির সমস্যা হয়। তাই বাসগুলিকে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট বাস স্টপ থেকেই যাত্রীদের তুলতে ও নামাতে। দ্বিতীয়ত ট্রাফিক সিগন্যালে সবুজ থেকে লাল হওয়ার আগে হলুদ হলেই থেমে যেতে হবে। অনেকেই হলুদ দেখে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। যাতে লাল সিগন্যালে দাঁড়াতে না হয়। এই আচমকা গতি বাড়ানোর জেরে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ ততক্ষণে অন্যদিকের সিগন্যাল খুলে যায়। ফলে এই প্রবণতা বিপজ্জনক।