• বিধাননগরে চারটি ঘটনায় ৩৫ লক্ষ টাকার সাইবার প্রতারণা
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: কেওয়াইসি আপডেট, বেশি লাভের জন্য অনলাইনে বিনিয়োগ থেকে চাকরির টোপ। সল্টলেক, নিউটাউন, লেকটাউন এবং এয়ারপোর্ট মিলিয়ে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার পৃথক চারটি ঘটনায় ৩৫ লক্ষ টাকার সাইবার প্রতারণা হয়েছে। প্রতারিতরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে লেকটাউনের এক ব্যক্তিকে ফোন করেছিলেন প্রতারকরা। তাঁকে ফোনেই কেওয়াইসি আপডেট করার কথা বলেন। তিনি সরল বিশ্বাসে প্যানকার্ডের নম্বর এবং সমস্ত ওটিপি শেয়ার করে দেন। তাতে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। ওই ব্যক্তির মেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর লেকটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার এক বাসিন্দা। তাঁর কাছেও প্রতারকরা ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কেওয়াইসি আপডেট করার জন্য ফোন করেন। তিনিও তাঁর প্যানকার্ড নম্বর এবং ওটিপি শেয়ার করেন। তারপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে যায়। ওই ব্যক্তিও ৫ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে, বেশি ‘রিটার্নের’ আশায় অনলাইনে বিনিয়োগ করতে গিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন নিউটাউনের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ইনস্টাগ্রামে তাঁর আইডি রয়েছে। সেখানে তিনি একটি লিঙ্ক পেয়েছিলেন। তাতে ক্লিক করতেই তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান। তারপর তাঁকে ফোন করে সেখানে বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হয়। তিনি কয়েক দফায় ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেও ফেলেন। কিন্তু, বেশি রিটার্ন তো দূরের কথা, বিনিয়োগ করা মূলধনই ফিরে পাননি তিনি। তিনিও ৫ সেপ্টেম্বর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    সল্টলেকের এক বাসিন্দা অনলাইনে জবের অফার পেয়ে বিনিয়োগ করে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা খুইয়েছেন। তিনিও বিধাননগর সাইবার ক্রা‌ইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিসের দাবি, ফোনে ওটিপি এবং ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য শেয়ার করা চলবে না। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। অসতর্ক হলেই বিপদ।
  • Link to this news (বর্তমান)