সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে জাতীয় স্বীকৃতি, আপ্লুত শিক্ষক ভোলানাথ দাস
প্রতিদিন | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে জাতীয় স্বীকৃতি পেলেন শিক্ষক ভোলানাথ দাস। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি স্পিকার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘ন্যাশনাল লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পুরস্কার ২০২৫’ দেওয়া হয়। জাতীয় স্বীকৃতি পেয়ে আপ্লুত ভোলানাথবাবু। বলেন, একইভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের ফুলবাড়ি শীতলা হাই স্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক)-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভোলানাথ দাস। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে সমাজসেবামূলক কাজে। বিশেষত বন্যাপ্রবণ সুন্দরবন অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সংকট নিয়ে তাঁর গবেষণা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। দ্বীপাঞ্চলের পড়ুয়াদের নিয়ে কাজই এনে দিয়েছে জাতীয় স্বীকৃতি। জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত, ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুনীল শাস্ত্রী (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র), প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গৎ রাম সিংহল এবং কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ড. সঞ্জীব কুমার পাটোশি।
এদিন পুরস্কার গ্রহণের পর ভোলানাথবাবু বলেন, “সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবনের সময় দীর্ঘদিন জলের তলায় ডুবে থাকে। তখন বহু পড়ুয়া স্কুলে আসতে পারে না। ফলে পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে আমি বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি, ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় পড়ুয়াদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানারকম কাজ করেছি।” তিনি আরও বলেন, “গ্রামীণ দরিদ্র পরিবার ছেলে-মেয়েরা আর্থিক অনটনের কারণে অনেকেই স্কুল ছেড়ে দেয়। এই প্রবণতা রুখতে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক। তাই তাঁদের উৎসাহিত করতে বিশেষ ভাতা প্রদান করা জরুরি। লক্ষ্য একটাই, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিশুদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখা।”