• যোগ্য চাকরিহারার অপমান মানতে পারছি না
    আনন্দবাজার | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নয় বছর পরে ফের বসলাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায়। ২০১৬ সালে প্রথম বার দিয়েছিলাম এই পরীক্ষা। অকৃতকার্য হয়েছিলাম। তবে এ বারের পরীক্ষায় বসা খুব একটা আনন্দের ছিল না। আমাদের সঙ্গে অনেক যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এ দিন পরীক্ষা দেন। আমার স্বামীও পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনিও এক জন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক। স্বভাবতই আমার কাছে এ ভাবে পরীক্ষায় বসা মোটেও আনন্দদায়ক ছিল না।

    আমাদের রাজ্যে যে ভাবে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা অপমানিত হয়েছেন, তা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। শিশুসন্তানকে সামলে আমরা দু’জনেই পরীক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। পরীক্ষা মোটের উপরে ভালই হয়েছে। দেখা যাক, এ বার কী হয়। ভাল কিছু হবে বলেই আশা করছি।

    ছোটবেলা থেকেই স্কুলশিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন ছিল। জানি না, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে প্রতি দিনই নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখে পড়ছি। আমাদের শিশুকন্যাকে সামলে আমরা দু’জনে রাত জেগে প্রস্তুতি নিয়েছি। পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে জলপাইগুড়ির রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ে।

    এ দিন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগেও যতটা সম্ভব বইয়ে চোখ বুলিয়ে নিয়েছি। পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা যথেষ্টই জোরদার ছিল। সব মিলিয়ে মোটের উপরে ভালই পরীক্ষা দিতে পেরেছি। তবে মনের মধ্যে এখনও সংশয় রয়েছে। ফল না বার হওয়া পর্যন্ত এই সংশয়-দ্বিধা-দ্বন্দ থাকবেই।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)