এ রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চালু না করার দাবিতে সরব তৃণমূল। এই দাবিতে তৃণমূল ও কংগ্রেসের তরফে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিক্ষোভ, মিছিল ও পথসভা হয়েছে। এই আবহে এ বার জেলার রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিন্দোল সংসদের ১১৫ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় ১১২ জন ভুয়ো ভোটারের নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপ-প্রধান তথা রায়গঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি মনসুর আলি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানান। প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, এসআইআর কার্যকর হলে তালিকার ভুয়ো ভোটার বাদ যাবে।
মনসুরের অভিযোগ, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে ১১৫ নম্বর বুথে ১১২ জন ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তালিকায় এমন নাম রয়েছে, যাঁদের এলাকায় অস্তিত্ব নেই। মনসুর বলেন, “আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ভুয়ো ভোটারদের নামে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার স্বার্থে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চুপ।” রায়গঞ্জ ব্লক ২ তৃণমূল আহ্বায়ক দীপঙ্কর বর্মণের দাবি, ওই বুথে ভুয়ো ভোটার থাকলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিক। তিনি বলেন, “কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। আমরা এসআইআরের নামে বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া রুখব।” বিজেপির জেলা সভাপতি নিমাইচন্দ্র কবিরাজের দাবি, জেলার বেশির ভাগ বুথে ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তিনি বলেন, “ভুয়ো ভোটার বাদ দিতে বিজেপি আসআইআর কার্যকর করার পক্ষে। কংগ্রেস ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার জন্য দেরিতে হলেও ঘুরিয়ে এসআইআর সমর্থন করতে বাধ্য হচ্ছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, “কংগ্রেস স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে আন্দোলন করছে। এসআইআরের নামে বিজেপি বৈধ সংখ্যালঘুদের তালিকা থেকে বাদ দিলে কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।” মহকুমাশাসক (রায়গঞ্জ) তথা রায়গঞ্জের মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিক কিংশুক মাইতি বলেন, “ওই সংসদের তালিকায় ভুয়ো ভোটার থাকলে তালিকা সংশোধনের সময়ে নিশ্চই ভুয়ো ভোটার বাদ পড়বে।”