• ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে ছাঁটাই, নালিশ মেয়রকে
    আনন্দবাজার | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে শিলিগুড়ির বাঙালি যুবককে। শহরের বাবুপাড়ার বাসিন্দা অভিষেক সেনগুপ্ত শনিবার ‘মেয়রকে বলো’-তে ফোন করে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের কাছে ওই অভিযোগ জানান। মেয়রেরহস্তক্ষেপ দাবি করেন। মেয়র ফোনেই তাঁকে বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগ। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি দেখছি।’’ অভিযুক্ত সংস্থার অন্যতম কর্ণধার নিকুঞ্জ বনসল ফোনে সব শুনে বলেন, ‘‘পরে কথা বলছি।’’ পরে তিনি ফোন ধরেননি। জবাব মেলেনিমোবাইল-বার্তার।

    অভিষেক জানান, শিলিগুড়িরই চায়ের কারবারি একটি সংস্থায় মানব সম্পদ আধিকারিক পদে মাস ছয়েক কাজ করছিলেন তিনি। সম্প্রতি ওই সংস্থার এক সংখ্যালঘু, বাংলাভাষী নিরাপত্তা রক্ষীকে মালিক পক্ষ ছাঁটাই করতে চান। তাঁর দাবি, ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই কর্মী ভাল কাজ করেন বলে তাঁকে ছেঁটেফেলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন তিনি। তখনই তাঁকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে গালমন্দ করা হয় বলে অভিযোগ। ৩ সেপ্টেম্বর অফিসে ডেকে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার কথা জানানো হয়।

    বছর সাঁইত্রিশের অভিষেকের দাবি, তিনি ৩ সেপ্টেম্বরই বিষয়টি থানায় জানান। তবে সে সময় পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। বাড়ি ফেরার পরে, ফের তাঁকে ওই সংস্থায় ডেকে পাঠিয়ে গালিগালাজ করা হয়। পর দিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরোলে সংস্থার এক কর্মীকে পাঠিয়ে রাস্তায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিষেকের অভিযোগ। এর পরেই তিনি পুলিশ কমিশনারের দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখান থেকে শিলিগুড়ি থানায় পাঠানো হলে, এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে উল্টে দোষারোপ করেনবলে দাবি।

    বাড়িতে অভিষেক একাই থাকেন। বলেন, ‘‘জন্ম-কর্ম শিলিগুড়িতেই। আমাকে বাংলাদেশি বলে অপবাদ দিল ওরা! নানা বাজে কথা বলেছে। পুলিশের সাহায্য না পেয়ে, নিরুপায় হয়ে মেয়রকে ফোন করেছি। আশা করি, তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কারণ, রাস্তায় বেরোতেও ভয় করছে।’’

    ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচিতে অভিযোগ জানানোর পরে শিলিগুড়ি থানা অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ দিন সেখানেও লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। আজ,রবিবার থানায় তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। পুলিশ আগে এই অভিযোগে গুরুত্ব দিল না কেন, সে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)