পরীক্ষক হয়ে নয়, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই আবার পরীক্ষা দিলাম
আনন্দবাজার | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০১৬ সালে প্রথম বার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। স্বপ্ন ছিল। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, উচ্চ প্রাথমিক সবেতেই সফল হয়েছিলাম। বয়স কম ছিল। মনের জোর ছিল। খাটতেও পারতাম। কিন্তু প্রায় দশ বছর পরে আবার পরীক্ষা দিতে গিয়ে মনটা ভারাক্রান্ত।
কোনও দুর্নীতি না করেও দেশের বিচারব্যবস্থা ও সরকার আমাদের উপরে একই চাকরির জন্য পুনরায় খাঁড়া ঝুলিয়ে বাধ্য করেছে পরীক্ষা দিতে। আমাদের পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু হারানোর অনেক কিছুই আছে। ইতিমধ্যে আমরা কয়েক জন যোগ্য যোদ্ধাকে হারিয়েছি। অনেকেই যোগ্যদের উপরে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ, আন্দোলন করে পড়েননি। আমিও অনিচ্ছা নিয়েই পরীক্ষা দিলাম। আমার অনেক যোগ্য সহযোদ্ধা অসুস্থ হওয়ার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি। তাঁদের জন্য কষ্ট হচ্ছে খুব। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, যে যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষিকারা অসুস্থ হওয়ায় পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারবেন না, সরকার তাঁদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিক। কারণ এত কিছুর পরেও আশঙ্কাথেকেই যায়। প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ এসেছে। তবে এক-দু’টো প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে বলে মনে হচ্ছে। ২০১৬ সালে দেখেছি, ইন্টারভিউয়ে পেনসিল দিয়ে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। ফলে যে যোগ্য প্রার্থী ৫০+ স্কোর করেছেন, তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ১, ১.৭, ২,৩ নম্বর দিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করা হয়েছিল। সরকার, কমিশনের কাছে আবেদন সমস্ত স্তর স্বচ্ছ ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করুন।
আজ আমাদের পরীক্ষক হিসাবে থাকার কথা ছিল। কিন্তু একটা ঘরে আমাদেরই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আমরা পরীক্ষা দিলাম। এটা হওয়ার কথা ছিল না। মহামান্য আদালত, রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কাউকে ফেলবেন না।