পরীক্ষা-‘প্রহসন’, সরব বিরোধী নেতা, পাল্টা তৃণমূলেরও
আনন্দবাজার | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে লাগাতার বিতর্কের আবহেই স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) রবিবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছে। আর তাকে কেন্দ্র করে এ দিনও অব্যাহত রইল বিরোধীদের তোপ। পরীক্ষা ‘দাগি’রাও দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘প্রহসন’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পক্ষান্তরে, বিরোধীদের ‘শকুনে’র সঙ্গে তুলনা করে পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে পদযাত্রার পরে ‘চাকরি চোর, গদি ছোড়’ স্লোগান দিয়ে বিরোধী দলনেতা সরব হয়েছেন। শুভেন্দু এ দিন বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ডাবল ডাবল’ চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাংলায় এখন ‘ডাবল ডাবল’ চাকরি যাচ্ছে। আজকে প্রহসনের পরীক্ষায় অনেক ‘দাগি’ও পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তৃণমূলের চোর, এজেন্টরা এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন।” পাশাপাশি, বিরোধী নেতার দাবি, “যে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে জেনে নেবেন, এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান কখনও শিক্ষক হওয়ার সমতুল নয়।” প্রসঙ্গত, পরীক্ষার আগের দিনই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপের পরেও ১৫২ জন ‘দাগি’কে এই পরীক্ষার জন্য অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে নিয়োগ-দুর্নীতি প্রশ্নে সরকার ও তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুকেও নিশানা করেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “রাজ্যে ৯ বছর পরে এসএসসি-র পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লক্ষ থেকে কমে ৫ লক্ষ হয়ে গেল। আর শুভেন্দু আগে তৃণমূলের অংশীদার ছিলেন। ফলে, দুর্নীতির বিষয়ে উনি, পিসি বা ভাইপোই বলতে পারবেন! সরকার যোগ্যদের চাকরি খেয়েছিল। যোগ্যরা প্রতিবাদ করলেও সরকার অযোগ্যদের পাশে। এসএসসি-র দুর্নীতি সবার কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে।”
যদিও পরীক্ষা নিয়ে কোনও বিতর্ক দেখছে না তৃণমূল। এই সূত্র ধরেই বিরোধীদের নিশানা করে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “পদ্ধতি মেনে স্বচ্ছ ভাবে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। রাম-বাম এবং কংগ্রেসের একাংশ এই এসএসসি নিয়ে যা শুরু করেছিল, তার কিছুই মেলেনি। প্রমাণিত হল যে, শকুনের অভিশাপে গরু মরে না। তৃণভোজী গরু মসৃণ ভাবে ঘুরছে! আর শকুন আকাশে উড়িতে উড়িতে কাঁদিতেছে!”