ভারতীয় খাবারের প্রেমে পড়ে এ কী বললেন ফরাসি যুবতী? সামাজিক মাধ্যমে উজাড় করে বসলেন সে কথা
আজকাল | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একজন ফরাসি যুবতীর টুইট নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে চরম উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। খবর অনুযায়ী, তিনি দিল্লিতে তাঁর প্রথম অনাম্ সান্ধ্য ভোজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং খাবারের প্রতি তাঁর এহেন ভালোবাসার এই হৃদয়স্পর্শী প্রকাশ বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।
যুবতীর নাম জুলিয়া শেনো (Julia Chaigneau)। খবর অনুযায়ী এই ফরাসি নাগরিক গত দু বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। শুক্রবার একটি টুইটে তিনি লেখেন, 'আমি বুঝতেই পারছি না কীভাবে ২০ বছর ধরে ভারতীয় খাবার ছাড়াই বেঁচে ছিলাম! আজ প্রথমবার অনাম্ সান্ধ্য এর খাবার খেলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা, এত নতুন নতুন স্বাদের সমারোহ! আমি অনেক বেশি খেয়ে ফেলেছি, কিন্তু কোনও আফসোস নেই, জীবন ভালো চলছে। এখন নিশ্চিন্তে ঘুম দিতে পারি।'
এই টুইট দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এমনকী ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ৭৯,৫০০-এর বেশি ভিউ ছাড়িয়ে গিয়েছে। 'অনাম্ সান্ধ্য' মূলত কেরালার ফসল উৎসব অনামের সময় পরিবেশিত একটি ঐতিহ্যবাহী নিরামিষ ভোজ। এটি একটি অনন্য স্বাদের অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচিত হয়। রীতি অনুযায়ী কলাপাতায় পরিবেশিত হয় এই ভোজ। ভোজে প্রায় ২৬ টি আইটেম থাকে, যার মধ্যে থাকে ঝাল তরকারি, টক আচার, মিষ্টি পায়েস ইত্যাদি। প্রতিটি পদই অত্যন্ত যত্ন সহকারে সাবধানতার সহিত রান্না করা হয় এবং পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি একে অপরের স্বাদ পরিপূরক হিসেবে পরিবেশিত হয়- যা শতাব্দী প্রাচীন কেরল রান্নার ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
অনেক ভারতীয় এই যুবতীর খাবার পছন্দ করার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। ঘটনার জেরে একজন লিখেছেন, 'ভালো হয়েছে তুমি চেষ্টা করেছো এবং সেটা উপভোগ করেছো। এটি অন্যতম সেরা এক ধরণের নিরামিষ খাবার। এখানকার প্রায় সব উপাদানই ঘরে তৈরি এবং দারুণ স্বাদের।'
অন্য একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, 'এই হল ভারতের সৌন্দর্য। যে দিকেই যাও, খাবার সব সময়ই তোমাকে অবাক করে দেবে।' আরেকজন পরামর্শ দেন জুলিয়াকে আরও ভারতীয় আঞ্চলিক খাবার চেখে দেখার জন্য, যেমন মহারাষ্ট্রীয়, গুজরাটি ও পাঞ্জাবি রান্না। তিনি লেখেন, 'এটা তো কেবল একটা রাজ্যের খাবার, ভারতের আরও অন্তত ২০-২৫ টা আঞ্চলিক রান্না রয়েছে যা তুমি উপভোগ করতে পারো। আমার সবচেয়ে তিনটি পছন্দের খাদ্য হল - মহারাষ্ট্রীয়, গুজরাটি ও পাঞ্জাবি।'
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, 'তুমি ভাগ্যবান যে শুধুমাত্র বাটার চিকেনেই আটকে থাকোনি, বরং তার বাইরেও নজর দিয়েছো।' সম্প্রতি এই ঘটনা প্রমাণ করে, ভারতীয় খাবারের বৈচিত্র্য এবং গভীর সংস্কৃতি কেবল দেশীয় পর্যায়েই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও সমাদৃত হচ্ছে।