স্নানঘরে বৌমা, লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিও তুলছিলেন শ্বশুর, দেওর! বিজেপি সাংসদের বোনের মুখে বর্ণনা শুনেই শিউরে উঠল পুলিশ ...
আজকাল | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাস যোগীরাজ্যে বিজেপি সাংসদ বোনের চাঞ্চল্যকর দাবি। শ্বশুরবাড়িতে নির্মম নির্যাতনের শিকার তিনি। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁকে প্রাণহানির হুমকিও দেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াহ জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফারুকাবাদের বিজেপি সাংসদ মুকেশ রাজপুতের বোন রীনা সিং থানায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্মম শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অত্যাচারের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, ভরা রাস্তায় বিজেপি সাংসদের বোনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন তাঁর শ্বশুর।
রীনা সিং থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, শ্বশুর লক্ষণ সিং, দেওর রাজেশ ও গিরিশ সিং বেধড়ক মারধর করেন তাঁকে। এমনকী খুনের হুমকিও দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, রবিবার দুপুরে তিনি যখন স্নানঘরে ছিলেন, সেই সময় শ্বশুর লক্ষণ সিং ও দেওর গিরিশ লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁর স্নানের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। ঘটনাটির প্রতিবাদ করতেই রীনাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন সকলে। পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
রবিবারেই রীনাকে লাঠি দিয়ে মারতে মারতে বাড়ি থেকে বের করে দেন লক্ষণ। সেই মুহূর্তের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই। সেদিন বন্দুক বের খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন শ্বশুর। সকলের সামনেই হুমকি দিয়েছিলেন, 'তোকে গুলি করে মেরে ফেলব।' তখনই ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালান দেওর রাজেশ। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হন রীনা। পাশাপাশি লোহার রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ করেছেন গিরিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশ আধিকারিক চমন গোস্বামী জানিয়েছেন, রীনা সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষণ সিং, রাজেশ সিং ও গিরিশ সিংয়ের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে এক হস্টেলের স্নানঘরে মেয়েদের স্নান করার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম, হিমাংশু রায়। সে হীরাপট্টি কলোনির বাসিন্দা।পরিবারের সঙ্গেই থাকে হিমাংশু। গত এক বছর ধরে ওই এলাকারই একটি হস্টেলে মেয়ের স্নানের মুহূর্তটি চুপিচুপি দেখত। অনেক সময় সেই দৃশ্য ফোনে ক্যামেরাবন্দি করত।
গত রবিবার ওই হস্টেলের এক দশম শ্রেণির ছাত্রী স্নানঘরে ঢুকে দেখতে পায়, ছাদের একটি অংশ ফাঁকা। সেখানেই একটি মোবাইল ক্যামেরা চোখে পড়েছিল তার। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে বাকিদের ডেকে আনে সে। তড়িঘড়ি করে ছাদে ওঠেন অনেকেই। হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, হিমাংশুর কীর্তি এর আগেও জানতে পেরেছিল হস্টেলের পড়ুয়ারা। অতীতে ছাত্রীদের ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিত সে। ছাত্রীদের হুমকি দিয়ে বলত, যদি পুলিশে বা কাউকে নালিশ করা হয়, তাহলে স্নানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে সে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হিমাংশুর ফোন ও ল্যাপটপ ঘেঁটে কমপক্ষে ৪০টি পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। আরও অশ্লীল ছবি রয়েছে ফোন ও ল্যাপটপে। তিনি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'এক যুবককে হাতেনাতে ধরেছে ওই হস্টেলের পড়ুয়ারা। ওই পড়ুয়াদের স্নানের একাধিক ভিডিও তার ফোন থেকে পাওয়া গেছে। একবছর ধরে হস্টেলের মেয়েদের এই স্নানের ভিডিও সে তুলছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।'