আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে বহু মানুষই ঘরে অফিসে অভ্যস্থ এসি-তে। সারাদিনের ক্লান্তির পর, এসি চালিয়েই ঘুমিয়েছিল পরিবার। কিন্তু পরিণতি এমন হতে পারে, ঘূণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেনি কেউ। এক মুহূর্তে গোটা পরিবারের করুণ পরিণতি। ঘটনায় শোক এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল ফরিদাবাদ। সেখানেই এই পরিবার রাতে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভোররাতে আচমকা তাঁরা দেখেন ঘরের মধ্যেই কুণ্ডলীকৃত ধোঁয়া। ঘরের মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বাবা-মা-মেয়ের। মৃত্যু হয় পোষ্যটিরও। কোনও রকমে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচে ছেলের। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, যে ঘরে তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন, সেই ঘরের এসি থেকে কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়, ওই ভবনের অন্য একটি তলায়।
সোমবার হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি বহুতলে এয়ার কন্ডিশনারের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিন সদস্য এবং তাদের পোষা কুকুরের প্রাণ গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহতদের নাম শচীন কাপুর, স্ত্রী রিঙ্কু কাপুর এবং তাঁদের মেয়ে সুজান কাপুর।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চারতলা ওই ভবনের প্রথম তলায় ভোর দেড়টার দিকে আচমকা বিস্ফোরণটি ঘটে এবং কিছুক্ষণেই কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায়। সেখানেই মূলত কাপুর পরিবার ঘুমাচ্ছিল। ঘটনার সময় প্রথম তলার বাড়িটি খালি ছিল বলে জানা গেছে। মূলত ওই তিনজনের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই দম্পতির ছেলে সেই মুহূর্তে অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিল। ঘরের মধ্যে ধোঁয়া দেখে তৎক্ষণাৎ সে ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তারা ঘুম থেকে উঠে পড়েন। দেখেন পাশের বহুতলে অগ্নিকাণ্ড। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ছুটে যান সেখানে। মায়াঙ্ক বলে স্থানীয় এক ব্যক্তি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, 'আমরা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েই বাইরে বেরোই। আমরা তখন ভবনের অন্যান্য লোকদের উদ্ধার করতে ছুটে যাই।' তিনি জানিয়েছেন, চতুর্থ তলায় সাতজনের একটি পরিবার থাকত, আর তৃতীয় তলাটি কাপুর তাঁর অফিস, অফিসের নানা কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করতেন।
দিন কয়েক আগেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে যোগী রাজ্যে। ৩১ আগস্ট, সকালের দিকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি বাড়ল, বেলা বাড়তেই। যোগী রাজ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে, ঝলসে মৃত্যু অন্তত সাতজনের। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এই মর্মান্তিক, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত মে মাসে পাঞ্জাবের মুক্তসর জেলার সিঙ্ঘেওয়ালা গ্রামে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে গোটা কারখানা ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানা সীমানার নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ওই বাজি কারখানায় আতশবাজি উৎপাদন এবং প্যাকেজিংয়ের কাজ চলে। ওখানে কাজ করতে আসা বেশিরভাগ শ্রমিকই ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রাথমিক তদন্তের পর মুক্তসারের পুলিশ সুপার অখিল চৌধুরী বলেন, 'দুর্ঘটনাবশত কাজ চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে কারখানার ভিতরে। যার জেরে পুরো কারখানাটি ধসে পড়ে যায়। আগুনের চেয়েও কারখানা ভেঙে পড়ার জেরে তার নিচে চাপা পড়েই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।' ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল ঘরের ভিতরেই।