• প্রামাণ্য দ্বাদশ নথি হিসেবে জুড়ে গেল আধার! এসআইআর মামলায় বড় নির্দেশ শীর্ষ আদালতের 
    আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে এবার আগের ১১টি তথ্যর সঙ্গেই জুড়ে গেল, দ্বাদশ তথ্য। আধার কার্ড। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে তথ্য তেমনটাই। জানা গিয়েছে বিহার এসআইআর মামলায় সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনকে দ্বাদশ তথ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছে।

    সূত্রের খবর, বিহার মামলায় এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিলেও, একইসঙ্গে জানিয়েছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়েই কেবল প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে আধার।

    এর আগে, ১২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের যুক্তিকেই সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংক্ষিপ্ত সংশোধন (এসআইআর)-কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানির সময় এই পর্যবেক্ষণ করে। আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বলকে উদ্দেশ করে বিচারপতি কান্ত বলেন, 'আধারকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। এটি যাচাই করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ঠিকই বলেছে।'

    এদিনও ওই মত বহাল রইল। জানানো হল, বিহার এসআইআর বিষয়ে এটিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে যুক্ত করতে হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রামাণ্য নথির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল,  আধার জাল হতে পারে এবং তাই এটি পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি অনুপযুক্ত বিকল্প। এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে আদালত বলেছে যে নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্ডের আসলতা যাচাই করতে পারেন প্রয়োজনে। 

    এর আগে, ১ সেপ্টেম্বর জানা গিয়েছিল, বিহারের ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ভোটার বাদ পড়লেও, মাসব্যাপী সংশোধনী চলাকালীন নাম তোলার জন্য মাত্র ৩৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। পরিবর্তে নাম বাদ দেওয়ার জন্য দু’লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কংগ্রেস দাবি করেছে, ৮৯ লক্ষ অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন তাদের প্রক্রিয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। 

    বিহারের ভোটার তালিকা থেকে নাম যোগ বা বাদ দেওয়ার জন্য এক মাসব্যাপী আবেদন জমা দেওয়ার সময় সোমবার শেষ হয়েছে। প্রায় ৩৩ হাজার ব্যক্তি ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক বুলেটিনে বলা হয়েছে যে, খসড়া তালিকায় ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা নামগুলি বাদ দেওয়ার জন্য দু’লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নিযুক্ত বুথ-স্তরের এজেন্টরা এখন পর্যন্ত খসড়া তালিকা থেকে অন্তর্ভুক্তির জন্য ২৫টি এবং বাদ দেওয়ার জন্য ১০৩টি দাবি জমা দিয়েছেন। খসড়া ভোটার তালিকা ১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছিল এবং ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলির দাবি ও আপত্তি দাখিলের সময়সীমা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা ছিল।

    নির্বাচনী আইনের অধীনে, ব্যক্তি এবং দলগুলি তাদের অযোগ্য বলে মনে করা নাম অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে অথবা খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া যোগ্য ভোটারদের যোগ করার জন্য অনুরোধ করতে পারে। দাবি জমা দেওয়ার শেষ দিনে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং অন্যান্যদের দ্বারা দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি চলছে। আবেদনে বিহারের নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চলাকালীন খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়াদের দাবি দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)