• 'বিহারে সময়ে ভোট হয়, কিন্তু চাকরির পরীক্ষা হয় না', নিরুপায় হয়ে বাংলায় কাজ খুঁজছেন যুবক ...
    আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি: বিহার থেকে বাংলায় পরীক্ষা দিতে এসে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে অদ্ভুত অভিযোগ করলেন এক পরীক্ষার্থী। তাঁর দাবি, বিহারে সময়ে ভোট হয়, কিন্তু চাকরির পরীক্ষা হয় না। সোমবার সকালে বিহারের ভোজপুর জেলা থেকে হুগলিতে চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে এই অভিযোগ করেছেন মহম্মদ কামরান। 

    রবিবার হুগলি গার্লস স্কুলে তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছিল। পরীক্ষা দিয়েছেন কামরান। ভালই হয়েছে তাঁর পরীক্ষা। এর আগে চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন হরিয়ানাতে। কিন্তু এই সময়কালের মধ্যে বিহারে কোনও চাকরির পরীক্ষা হয়নি। কামরান এই রাজ্যে হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে ইতিহাসের জন্য আবেদন করেছেন। 

    এদিন কামরান জানিয়েছেন, এখন ভোটের জন্য বিহারে পরীক্ষা দেরি হচ্ছে। তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গে চেষ্টা করছেন। ৯ বছর বাদে পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে। তাই তিনি চেষ্টা করে দেখছেন। বাংলা ভাষা তিনি বলতে পারেন না। ভাল করে বুঝতেও পারেন না। তাই বাংলায় এসে হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে ইতিহাসের জন্য চেষ্টা করছেন। 

    ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিহার রাজ্যের অনেক শিক্ষক এই রাজ্যে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে। কোভিডের সময়ও বিহারে ভোট কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে হয়। কিন্তু একটা ছাত্রর যে দুঃখ সেটা নেতারা বুঝতে পারেন না। তিনি মনে করেন সরকারের উচিত সময়ে সময়ে ভোটের মতোই নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এটা খুবই দুঃখের বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    প্রসঙ্গত, এদিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে এসে পকেটমারির পাল্লায় পড়েন এক পরীক্ষার্থী।

    উত্তরপ্রদেশের রামপুর গোপিগঞ্জ সন্ত রবিদাস নগরের বাসিন্দা আনন্দ কুমার বিন্দ। এসএসসি পরীক্ষা দিতে এসেছেন বাংলায়। বিভূতি এক্সপ্রেসে হাওড়া। সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে হুগলিতে নামেন গতকাল। 

    আনন্দের দাবি, স্টেশনে এক ব্যাক্তির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়।হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে খাবার খাওয়ানোর পর গঙ্গায় স্নান করাতে নিয়ে যায়। তারপর আবার স্টেশনে যান রাত কাটানোর জন্য। তারপর কী হয়েছে আর মনে নেই তাঁর।

    কেউ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। জ্ঞান ফিরলে দেখেন চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে আজ হুগলি এইচইটিসি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসেন তিনি। মাথা ঘুরতে থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বসে পড়েন। ইতিহাস বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন আনন্দ। তাঁর মোবাইল আর টাকা খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    প্রসঙ্গত, ফের রাজ্যে হচ্ছে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। দীর্ঘ ৯ বছর পর। প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন হতে চলেছে। বাংলা জুড়ে মোট ৬৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেবে এসএসসি। ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর নবম ও দশম শ্রেণির এবং ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পরীক্ষা হতে চলেছে। 
  • Link to this news (আজকাল)