• প্রযুক্তিতে বিরাট সাফল্য! ২০৪৭-এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে ২০টি ডেকাকর্ন কোম্পানি
    প্রতিদিন | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ক্রমশ নিজেকে উন্নত করে তুলছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যটি নতুন প্রযুক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ইউপি-তে ১৫-২০টি ডেকাকর্ন কোম্পানি তৈরি হবে। এমনটাই পরিকল্পনা যোগীর। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আইটি, এআই এবং ডিপ টেক-এর মতো উন্নত প্রযুক্তিগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে চার কোটিরও বেশি যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষিত করে বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে এমনটাই আশা করছেন তিনি।

    ২০১৭ সালের আগে রাজ্যের আইটি ও ডিজিটাল খাতের জন্য কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। ফলে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে রাজ্যটি অনেকটাই পিছিয়ে ছিল।
    ২০১৭ সালের পর যোগী সরকারের প্রচেষ্টায় ছবিটা সম্পূর্ণ পালটে যায়। উত্তর ভারতের প্রথম ডেটা সেন্টারটি গৌতম বুদ্ধ নগরে তৈরি করেন তিনি। সফটওয়্যার রপ্তানিতেও রাজ্য নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে, যার ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইটি মানচিত্রে উত্তরপ্রদেশের পরিচিতি বেড়েছে।

    ২০৩০ সালের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লখনউ এবং কানপুরে এআই সিটি তৈরি করা হবে। এনসিআর, লখনউ এবং নয়ডাকে গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার (GCC) হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি বিভাগে ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হবে এবং নতুন ইউনিকর্ন স্টার্টআপগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরি করা। ইসরোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্যাটেলাইট ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও কাজ করবে তারা। সফটওয়্যার রপ্তানিও পাঁচগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    ২০৪৭ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তরপ্রদেশকে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং ব্লকচেইনে বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই যোগীর লক্ষ্য। আগামীতে উত্তরপ্রদেশ শুধুমাত্র ভারতের ডিজিটাল পাওয়ারহাউস হিসেবে নয়, বরং একটি বৈশ্বিক প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে বলে মনে করছেন যোগী।
  • Link to this news (প্রতিদিন)