খেলার ছলে শূন্যে গুলি! ৩ মদ্যপের ‘ফূর্তি’তে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অফিসের কাছে চাঞ্চল্য
প্রতিদিন | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: বারাকপুরে ফের বেলাগাম দুষ্কৃতীরাজ! লাটবাগানের কাছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অফিসের কাছেই চলল গুলি। রবিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এরপরেই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছুটে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম আরমান আনসারি, শাহআজ আনসারী এবং বিশ্বজিৎ তিওয়ারি। আরমান আনসারি আইনের ছাত্র। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট নয়। তবে তিনজনই পুলিশকে জানিয়েছেন, খেলার ছলেই নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা! সত্যিই কি তাই? নাকি গুলি চালানোর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ধৃত তিনজনকেই দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আনুমানিক রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় আইনের ছাত্র আরমান তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে বারাকপুরের কোনও এক বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিল। অভিযোগ, বেপরোয়া গতিতে কালো একটি চারচাকার গাড়ি চালিয়ে খড়দহ থেকে বিটি রোড ধরে বারাকপুর চিড়িয়ামোড়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ কমিশনারেট অফিস সংলগ্ন লাটবাগান এলাকায় তাঁরা শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় তিনজনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
এরপরই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ধৃত তিনজন বিটি রোডের বারাকপুর পুরসভা সংলগ্ন কাট আউট থেকে গাড়ি ‘ইউ-টার্ন’ নিয়ে টিটাগড়ের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। যদিও ততক্ষণে সেই খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। এরপরই টাটাগেট লাগোয়া এলাকায় উড়ন্ত গতিতে ছুটে চলা কালো চাকার গাড়িটিকে দাঁড় করায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের থেকে উদ্ধার হয় একটি ৭ এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি এবং ১টি খালি কার্তুজ। তারপরই তিনবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ধৃতদের বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্র বদন ঝাঁ জানিয়েছেন, “গাড়ি বিশ্বজিৎ চালাচ্ছিল। বাকি দুজনের মধ্যে কে গুলি চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি গুলি চলেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান। ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেয়েছিল তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”