শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ট্রাকভর্তি চা পাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই চা পাতা নিয়ে যাওয়ার আড়ালে পাচার হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা! গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সেই গাঁজা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চালক-সহ এক নাবালককে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। পুজোর আগে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে প্রশাসনিক মহলেও।
রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির ২৭ডি জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে একটি ট্রাক চা পাতা নিয়ে যাচ্ছিল। ওই ট্রাকটি অসম থেকে বিহারে যাচ্ছিল বলে খবর। গোপন সূত্রে খবর যায় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে। জাতীয় সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে খবর যায়। সেইমতো রাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। বালাপাড়া এলাকায় ওই ট্রাকটিকে আটক করা হয়। শুরু হয় তল্লাশি। দেখা যায় ট্রাকের মধ্যে চা পাতার ব্যাগ ভর্তি।
তল্লাশি চালানোর সময় নজর যায় চালকের আসনের নিচে। সেই আসনের জায়গা তল্লাশি করতেই হতবাক হন তদন্তকারীরা। দেখা যায় চালকের বসার আসনের নিচে একটি অ্যান্টি চেম্বার রয়েছে। সেখানেই মজুত করা ছিল বিপুল পরিমাণ গাজা। মোট ১৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেগুলির বাজারদর কয়েক লক্ষ টাকা। এছাড়াও ট্রাকের মধ্যে ৩৫ কেজি ওজনের মোট ৪৮৫ টি চায়ের ব্যাগ ছিল। চা পাতা নিয়ে যাওয়ার আড়ালেই ওই মাদক পাচার হচ্ছিল! প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই ট্রাকটি অসম থেকে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। বিহারের বাসিন্দা ট্রাকচালক অমরজিৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ট্রাকে তাঁর সহকারী হিসেবে এক নাবালকও ছিল। তাকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত? অসমের কোথা থেকে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল? বিহারের কোথায় ওই মাদক পাচার হচ্ছিল? সেসব বিষয় চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।