কীভাবে বালি পাচার? কোথায় যাচ্ছে টাকা? তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অর্ণব আইচ: রাজ্যে আরও এক মামলার তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট! বালি পাচার মামলায় সোমবার সকাল থেকে অ্যাকশন মোডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কলকাতা, গোপীবল্লভপুর-সহ রাজ্যের ২২টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চলছে। তদন্তকারীদের নজরে একাধিক বালি খাদানের মালিক এবং তাঁদের অফিস। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি বিমা সংস্থার অফিসেও এদিন সকাল থেকে তল্লাশি চলছে। তদন্তকারীদের দাবি, বালি পাচারের মোটা অঙ্কের টাকা বিমায় বিনিয়োগ করা হত। এই বিষয়ে আরও সূত্রে পৌঁছতে এদিন সকাল থেকে কোমর বেঁধে তল্লাশি অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তবে এই বালি পাচার কীভাবে চলত? একাংশের দাবি, এহেন অভিযোগ নতুন নয়। একাধিকবার এই বিষয়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। এবার সেই ঘটনার তদন্তেই গতি বাড়াল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, একেবারে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি তোলা হয়। অতিরিক্ত লরি পাঠিয়ে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে এই বালি তোলার কাজ। লরির নম্বরেও করা হতো দুর্নীতি।
তদন্তকারীদের দাবি, বালি তোলার ক্ষেত্রে যে লরিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই গাড়ির নম্বর দিতে হতো। কিন্তু অভিযোগ, একই নম্বর ব্যবহার করেই একাধিক লরিতে চলত এই বালি পাচার। কার্যত অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রশাসনের বোঝার বাইরে ছিল। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হত, অনুমতি পাওয়া লরিই বালি তুলছে। কিন্তু সেই নম্বরকে ব্যবহার করে আদতে একাধিক লরিকে ব্যবহার করেই চলত এই বালির দুর্নীতি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বালি তোলার ক্ষেত্রে অনুমতি পত্রে কিউআর কোড দেওয়া হত। অভিযোগ, সেই কিউআর কোডকেও জাল করা হত। আর এই অবৈধভাবে বালি তোলার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে বারবার সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু এরপরেও এই দুর্নীতি চলছিল বলে অভিযোগ।
বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন গোপীবল্লভপুর -১ ব্লকের নয়াবসানে শেখ জাহিরুলের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী বেশ কয়েকটি বালি খাদান আছে বলেও অভিযোগ। একেবারে সুবর্ণরেখা নদীর পাশেই শেখ জাহিরুলের বাড়ি। এই সুবর্ণরেখা নদী থেকে তোলা বালির চাহিদা রয়েছে। ফলে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।