স্বামীর উপর উঠেই পুরুষাঙ্গ চেপে ধরলেন স্ত্রী! যৌনসুখের বদলে ভয়ঙ্কর কাণ্ডের সাক্ষী থাকলেন যুবক, বর্ণনা শুনে পুলিশের চোখ ছানাবড়া
আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে 'পথের কাঁটা' স্বামী। তাঁকে চিরতরে গায়েব করতে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের। যদিও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল না। প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন এক যুবক। এদিকে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত যুবক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা শুনে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। যে ঘটনার বিবরণ শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন শহরবাসী। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পয়লা সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে আক্কামাহাদেবী নগরে। ঘটনার দিন কয়েক পরেই পুলিশ বিষয়টি জানতে পারেন। ওই এলাকাতেই এক মহিলা স্বামীকে নির্মমভাবে খুনের চেষ্টা করেন। স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা প্রেমিকের সঙ্গে করেছিলেন ওই মহিলা। কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছেন বিরাপ্পা মায়াপ্পা পূজারি। স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী সুনন্দাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ৩৬ বছরের বিরাপ্পা স্ত্রী সুনন্দার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। এদিকে সুনন্দা সিদাপ্পা কাটাকারে নামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমের সম্পর্ক ক্রমেই গভীর হয়ে ওঠে। স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেও, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কটি ভাঙতে নারাজ ছিলেন সুনন্দা।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন সুনন্দা। এই পরিকল্পনায় তাঁকে সাহায্য করেন সিদাপ্পা ও তাঁর এক সহকারী। ঘটনার দিন রাতে নিজের বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন বিরাপ্পা। তখনই তাঁর পাশে শুয়েছিলেন সুনন্দা। গভীর রাতে হঠাৎ বিরাপ্পার বুকের উপর বসে পড়েন। গলা ও যৌনাঙ্গ টিপে ধরে খুনের চেষ্টা করেন তিনি।
জানা গেছে, সেই সময়েই সিদাপ্পাকে চিৎকার করে ডেকেছিলেন সুনন্দা। চিৎকার করে সিদাপ্পাকে বলেছিলেন, 'ওকে শেষ করে দাও!' ঘুম ভাঙতেই সুনন্দাকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বিরাপ্পা। ঘরের মধ্যে সেই চিৎকারের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির মালিকের। তিনি গভীর রাতে এসেই দরজা ধাক্কাতে শুরু করেন।
চিৎকার, চেঁচামেচির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় বিরাপ্পার আট বছরের ছেলের। ঘুম থেকে উঠেই সে দরজা খুলে দেয়। ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েন বাড়ির মালিক। হইচই শুরু হতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান সিদাপ্পা ও তাঁর এক সহকারী। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন সিদাপ্পা। তাঁর অভিযোগ, স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা ছিল সুনন্দার। এই ঘটনায় তাঁকে জড়িয়েছিলেন সুনন্দা। সেই ভিডিওটি ঘটনার রাতের খানিকটা ধরা পড়েছিল। এমনকী সুনন্দার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
সেই ভিডিওর সূত্র ধরে এবং বিরাপ্পার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সুনন্দাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে সিদাপ্পা পলাতক। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের চেষ্টার কারণে বিরাপ্পা গুরুতর আহত হন। তড়িঘড়ি করে ইন্ডি টাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিকে এই ঘটনায় বিরাপ্পার দুই সন্তান ও গোটা পরিবার আতঙ্কিত।