পুজোয় চলবে না কোনও গ্যালপিং ট্রেন, উৎসবের দিনগুলিতে এসি ট্রেন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল রেল? ...
আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোর দিনগুলিতে ভিড় সামাল দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিতে চলেছে শিয়ালদহ ডিভিশন। সোমবার এই ডিভিশনের ডিআরএম রাজিব সাক্সেনার উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় এসি ট্রেন ছাড়া বাকি সমস্ত গ্যালপিং লোকাল ট্রেন সব স্টেশনে দাঁড়াবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত শিয়ালদহ ডিভিশনের সমস্ত সেকশনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী থাকবে।
মফস্বল ও দূরবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক পুজোর দিনে কলকাতায় আসেন। উদ্দেশ্য, কলকাতায় পুজো উপভোগ করা। এই যাত্রীদের কথা ভেবে শিয়ালদহ স্টেশনে অতিরিক্ত ১০টি অসংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার বা ইউটিএস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে দিবারাত্রি খোলা রাখা হবে ২১টি কাউন্টার। যাত্রী ভিড়ের কথা ভেবে থাকবে নৈশকালীন বিশেষ ট্রেন বা ‘নাইট সার্ভিস ট্রেন’–এর ব্যবস্থা। যদিও এই ট্রেনগুলি চলবে শিয়ালদহ–কল্যাণী এবং বালিগঞ্জ ও সোনারপুর স্টেশনের মধ্যে। পুজোর দিনে যারা গাড়ি নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে ট্রেন ধরতে যাবেন তাঁরা কিছুটা আগে বেরলেই ভাল হয়। কারণ অন্য সময় গাড়ি স্টেশনে পার্কিং করা গেলেও রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত কার পার্কিংয়ের জায়গা বন্ধ রাখা হবে। মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে তাঁদের জন্য বিশেষ ‘ড্রপিং পয়েন্ট’ রাখা হবে। তবে অন্য সময় মাল বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলির সাহায্য নেওয়া হলেও পুজোর দিনে বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কোনও ট্রলি শিয়ালদহ স্টেশনের মধ্যে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে প্রয়োজনীয় নির্মাণ কাজ করছে রেল। যার ফলে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে। সোমবারের এই বৈঠকে ডিআরএম নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনে পড়ে থাকা সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে দিতে হবে। পুজোর সময় যাত্রীদের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে অপরাধীরাও। যাত্রীরা যাতে কোনওভাবেই কিছু অসুবিধার সম্মুখীন না হন সেজন্য রেলের তরফে একদিকে যেমন স্টেশনে আরপিএফ কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে তেমনি রেলপথে যে লেভেল ক্রসিংগুলি দিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করে সেই লেভেল ক্রসিংগুলিতে থাকবে স্পেশাল আরপিএফ ফোর্স। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তারা কাজ করবে। যাত্রীদের সহযোগিতায় শিয়ালদহ, দমদম বা কলকাতা স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত সহায়তাকারী বুথ বা ‘মে আই হেল্প ইউ’ কাউন্টার খোলা থাকবে। থাকবে দিবারাত্রি পানীয় জলের ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার উপরেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে থাকবে ‘মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ’।