নয়াদিল্লি: অন্যজনের হয়ে পরীক্ষা দেওয়া। সিনেমায় হামেশাই দেখা যায় এমন ঘটনা। বিশেষ করে হিন্দি ছবি ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সেই দৃশ্য তো আজও মনে রেখেছেন দর্শকরা। কিন্তু যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা এখন ঘোরতর বাস্তব। সোমবার এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে তাই সিনেমার প্রসঙ্গই উঠে এল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতিদের বেঞ্চ সাফ জানাল, ‘মুন্নাভাইদের গরাদের ওপারে থাকাই ভালো!’
ঘটনা গতবছরের। উত্তরপ্রদেশে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে শিক্ষক নিয়োগের সর্বভারতীয় পরীক্ষা (সিটেট) দিতে গিয়েছিল লোকেন্দ্র শুক্লা নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু বায়োমেট্রিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে যায় তার পরিচয়। জানা যায়, সন্দীপ সিং প্যাটেল নামে এক ব্যক্তির হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে সে। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে সন্দীপ। বলে, অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সন্দীপ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে। ভুয়ো পরীক্ষার্থী সাজিয়ে লোকেন্দ্রকে পাঠিয়েছিল সে-ই। নকল অ্যাডমিট কার্ড সহ যাবতীয় ভুয়ো তথ্যও সন্দীপ জোগাড় করে। দু’জনেরই জেল হয়। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জামিন পায় লোকেন্দ্র। কিন্তু সন্দীপের জামিনের আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। হাইকোর্টের বিচারপতি জামিনের আবেদন খারিজ করে তীব্র ভর্ৎসনাও করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সন্দীপ। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে। সেখানেও সন্দীপের জামিন মঞ্জুর হয়নি। দুই বিচারপতিই ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে আসামীর শাস্তি বহাল রাখার পরামর্শ দেন।