ওএমআরের ‘ভয়’ কাটিয়ে মুখে হাসি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের
বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: প্রথমবার ওএমআর শিটে পরীক্ষা। প্র্যাকটিস করলেও একটু দুশ্চিন্তা ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। তবে, দু’একটি কেন্দ্রে শিট নিয়ে ছোটখাট সমস্যা বাদ দিলে সোমবার গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় নির্বিঘ্নেই হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা। নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ার কোনও খবরও নেই।
উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে প্রথম দিনের পরীক্ষা পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে সমস্ত স্কুলে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হলেও ওএমআর শিটে পরীক্ষা দিতে কিছু পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়ে।
ফের ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। প্রথম দিনের
পরীক্ষায় জেলাজুড়ে পুলিশ, প্রশাসনও সতর্ক ছিল। ডিআই দেবাশিস সমাদ্দার বলেন, জেলায় সুষ্ঠুভাবে প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় ৭৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রীসংখ্যা ১১ হাজার। ছাত্র প্রায় ৭ হাজার। ৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। জেলার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কনভেনার সুব্রত সাহা জানান, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে হতো। এবারই দুই ধাপে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে।
প্রথম ধাপের এই পরীক্ষায় সর্বমোট মাত্র ৪০ নম্বরের পরীক্ষার সময়
সীমা ছিল ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এর ফলে মানসিক চাপ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল না বললেই চলে।
সকলেই যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয়।
মালদহ জেলাতেও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দিনের পরীক্ষা। জেলার ১১১ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকারি নির্দেশিকা মেনে সমস্ত ব্যবস্থা করা ছিল। পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল। জেলায় ৩৫ হাজার ৭৬০ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন এদিন পরীক্ষা দিয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন দু’জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন সদ্যোজাতর মা। অন্যজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দেয়। তাদের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হয়নি। পুলিশ, প্রশাসনের তরফ থেকেও সমস্ত ব্যবস্থা সঠিকভাবে থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মালদহ জেলার উচ্চ মাধ্যমিকের যুগ্ম আহ্বায়ক বশিরুল ইসলাম বলেন, জেলাজুড়ে এদিন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পড়ুয়ারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এদিকে, নানা জটিলতা কাটিয়ে নৌকায় চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয় ভূতনির পরীক্ষার্থীরা। ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুরের গিরিটোলা, ভীমটোলা
ও সামিরুদ্দিন টোলার তিনটি বুথ জলমগ্ন এলাকায় সেখানকার
৫০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ছ’টি নৌকা বরাদ্দ করে মানিকচক ব্লক প্রশাসন। সেগুলিতে চেপে
সোমবার সঠিক সময়ে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছয়। তাদের
পুরো যাতায়াত ব্যবস্থার তদারকি করেন এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য জয়শ্রী মণ্ডল। পুলিস ও প্রশাসনের সমস্ত রকমের সহযোগিতা পেয়ে খুশি পরীক্ষার্থীরা।