• যুবকের মুণ্ড কেটে খুনে ৩৮ দিন পর ধৃত মহিলা সহ ৩
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: পরিযায়ী শ্রমিককে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার ৩৮ দিনের মাথায় এক মহিলা এবং তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ। 

    ধৃতরা হল সেবিনা খাতুন, সানাউল্লাহ আলি ও ফেরাজুল আলি। সেবিনাকে রবিবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত হয়। তাকে জেরা করেই দুই ভাইয়ের সন্ধান পায় পুলিশ। রবিবার রাতে রতুয়ার গোবরাহাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩০ জুলাই সকালে চাঁচল ২ ব্লকের গোরখপুরে বাঁশবাগানে গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় ওই এলাকার যুবক নাহারুল হকের (২৮)। ডাটা কেবল দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। যুবককে যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারেন, সেজন্য মুণ্ডটিও অ্যাসিড দিয়ে বিকৃত করা হয়। এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল পুলিশ। 

    ঘটনার দিন সেবিনা সহ তার পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছিলেন মৃতের বাবা আফিজুল হক। কিন্তু অভিযুক্তরা আত্মগোপন করায় তাদের খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ।  

    সেবিনাকে জেরা করতে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই গুজরাতে পাড়ি দেয় সে। সেখানে স্থানীয় পরিচিতদের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যোগ দিলেও  প্রথমবার ভিনরাজ্যে গিয়ে বেশিদিন থাকা সম্ভব হয়নি। বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেবিনা ট্রেনে রওনা দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে সামসি রেল স্টেশনের অদূরে জিয়াগাছি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শনিবার।

    নাহারুল দিল্লিতে পোশাক সেলাইয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসেন। বিয়ের দিন সকালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পাঁচদিন পর বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে নাহারুলের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। পরে তাঁর পরিবার মোবাইল ঘেঁটে দেখতে পায়, শেষবার ফোনে কথা হয়েছিল প্রতিবেশী সেবিনার সঙ্গে। তখন পরিবারের সন্দেহ হয়, ওই মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন নাহারুল। তার জেরেই এই খুন।

    পুলিশ সেবিনাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, মাঝেমধ্যে নাহারুলের সঙ্গে কথা হলেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, ধৃত মহিলা খুনের কথা এখনও স্বীকার করেনি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)