• নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে খুশি পড়ুয়ারা, কোচবিহারে দুর্ঘটনার কবলে প্রশ্নবাহী গাড়ি
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: সোমবার থেকে শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা। এদিন ছিল বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা। এবারই প্রথম নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিচ্ছে পড়ুয়ারা। সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা ছিল। এই সময়ে তাদেরকে ওএমআর সিটে ৪০টি মাল্টিপল প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে খুশি পড়ুয়ারা। তারা জানিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে খুবই ভালো লাগল। অল্প সময়ে পরীক্ষা হয়ে গেল। এদিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে নির্বিঘ্নেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র এবং ওওমআর সিট তুলে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সময় কোচবিহার শহরে দু’টি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িটির একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে এক প্রধান শিক্ষক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে অপর গাড়িটি প্রশ্ন ও ওএমআর নিয়ে যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছয়। এতে পরীক্ষায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।  

    উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কোচবিহার জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মানস ভট্টাচার্য বলেন, জেলায় এদিন পরীক্ষা ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। মোট ২১ হাজার ৫৯৯ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসেছে।  হরেন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক অজিত রায় ট্রেজারি থেকে প্রশ্ন নিয়ে ফিরছিলেন। সেখানে দু’টি গাড়ি ছিল। খাগড়াবাড়ি চৌপথিতে একটি লরি গাড়িতে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় চোট পান। তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। যে গাড়িতে প্রশ্নপত্র ছিল সেটি পুলিশ পাহারায় স্কুলে পৌঁছয়। যথা সময়ে প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। এক ছাত্রী অসুস্থ অবস্থায় এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।

    আলিপুরদুয়ার জেলাতেও পরীক্ষা নিয়ে কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক পরীক্ষার্থীরই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো বক্সা ও জলদাপাড়া জঙ্গলের বনবস্তির পরীক্ষার্থীদেরও বনদপ্তর এদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। জেলায় ৫৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এদিনের পরীক্ষায় ৯১ জন ছাত্র ও ৯২ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে তাদের খুশির কথা জানিয়েছে।

    তবে এদিন ময়নাগুড়ির শহিদগড় হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে আমগুড়ি এবং ময়নাগুড়ি হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  জলপাইগুড়ি জেলায় ১৫ হাজার পড়ুয়া পরীক্ষা দিচ্ছে। ৭৪টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে জেলায়। প্রথমদিনের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে। 

    শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার ৩৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। মোট ১০ হাজার ৩১৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। এদিন সকালে বৃষ্টির কারণে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে তারা খুশি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)