• দ্বিতীয় দফায় ‘বাংলার বাড়ি’ বণ্টনে সুপার চেকিং শুরু জেলা প্রশাসনের, তালিকায় রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার নাম
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: দ্বিতীয় ধাপে কারা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মাথার উপর পাকা ছাদ পাবেন তা ঠিক করতে ময়দানে নেমেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। জেলার ১৯টি ব্লকেই পৃথকভাবে নতুন উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির জন্য সুপার চেকিং পর্ব শুরু হয়েছে। যোগ্য উপভোক্তাদের বাছাই করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই কাজে গতি এসেছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ১৯টি ব্লকেই সুপার চেকিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তালিকায় থাকা প্রতিটি উপভোক্তার বাড়িতেই সার্ভে করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই যোগ্য উপভোক্তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাসে সেই তালিকা পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হবে। 

    কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্ত্বেও বাংলার প্রতিটি সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। বছরের শুরুতেই রাজ্যের নানা প্রান্তের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর তৈরির টাকা পাঠানো হয়। বীরভূম জেলার মোট ৫৩হাজার ৩০২জন উপভোক্তা সেই তালিকায় ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁরা দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও হাতে পেয়েছেন। বাড়ি তৈরির কাজে অনেকটাই গতি এসেছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ১০০শতাংশ বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিন্টেলের বেশি নির্মাণকাজ চলছে। তবে প্রায় ১০০০জন উপভোক্তার বাড়ি তৈরির কাজ এখনও লিন্টেল পর্যন্ত পৌঁছয়নি। জেলার প্রতিটি উপভোক্তার বাড়িই যাতে পুরোপুরি তৈরি হয় সেদিকে জেলা প্রশাসন নজর রাখছে। সেইসঙ্গে, দ্বিতীয় ধাপে উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে জেলা প্রশাসন তোড়জোড় শুরু করেছে। 

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো তালিকা অনুসারে জেলার তালিকায় প্রায় ৫৫হাজার উপভোক্তার নাম রয়েছে। তালিকায় থাকা প্রত্যেক উপভোক্তাই কি যোগ্য? তা নিশ্চিত করতেই এবার সুপার চেকিং শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে সেই কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে ব্লক প্রশাসনের অফিসাররা তালিকা অনুসারে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপভোক্তারা আদৌ যোগ্য কিনা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া কোনও ক্ষেত্রে উপভোক্তার পাকা বাড়ি থাকলে তা জিও ট্যাগিং ছবি সহযোগে নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করা হচ্ছে। পাকা বাড়ি থাকলে কোনও বাসিন্দা নতুন করে বাড়ি পাবেন না। সিউড়ি শহর লাগোয়া গ্রামের এক গৃহবধূ বলেন, এখনও ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে মাটির বাড়িতে থাকি। বর্ষাকালে খুব অসুবিধা হয়। এতদিন বাড়ি পাইনি। এবার হয়তো আমরা সরকারি পাকা বাড়ি পাব।
  • Link to this news (বর্তমান)