• উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ভাষার সেমেস্টার পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই, মুর্শিদাবাদে উপস্থিতির হার ৯৫ শতাংশ
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সোমবার থেকে শুরু হল উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা। মুর্শিদাবাদ জেলায় উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ। জেলা শিক্ষাভবনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনও পরীক্ষার্থীও অসুস্থ হয়ে পড়েনি। জেলায় আটটি অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে বাড়তি নজর রেখেছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা হাসিমুখে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে। প্রশ্নপত্র নিয়েও পরীক্ষার্থীদের মুখে কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি।

    এদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার ১৯৭জন। জেলার মোট ১২৭টি স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য রাস্তাঘাটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মুর্শিদাবাদের ডিআই(সেকেন্ডারি) জয়ন্ত হালদার বলেন, প্রথমদিন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে। কোনও মেডিক্যাল ইস্যু বা কোথাও কোনও অপ্রীতিকর  ঘটনা ঘটেনি। উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ।

    পরীক্ষার্থী সুজয় হালদার ও জিয়ারুল হক বলে, প্রথম ভাষা অর্থাৎ বাংলা প্রশ্নপত্র ভালোই হয়েছে। সেমেস্টার সিস্টেমে পরীক্ষা হওয়ায় আমাদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। তবে দু’বার পরীক্ষায় বসতে হবে, এটাই যা। বহরমপুরের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাফা কামাল বলেন, এবছর থেকেই সেমেস্টার সিস্টেমে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারে প্রাপ্ত নম্বরের যোগফল হিসেব করেই উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল বিবেচনা করা হবে। তৃতীয় সেমেস্টারের সাপ্লি পরীক্ষা চতুর্থতে দিলে, তৃতীয় সেমেস্টারের নম্বরের পাশে সাপ্লি বলে লেখা থাকবে। এবছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তৃতীয় সেমেস্টারের ফল প্রকাশ হবে বলে আশা করা যায়।

    এদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফুল, জলের বোতল ও পেন দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এলাকার বেশকিছু জনপ্রতিনিধি। হরিহরপাড়ায় বিধায়ক নিয়ামত শেখের উদ্যোগে একটি ক্যাম্প করে পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একই ধরনের কর্মসূচি চলে।

    হরিহরপাড়ার জেলা পরিষদের সদস্য জিল্লার রহমান বলেন, স্বরূপপুরে  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ের সামনে ক্যাম্প করে আমরা ছাত্রছাত্রীদের হাতে কিছু সামগ্রী তুলে দিয়েছি। আগামী দিনে যাতে তারা জীবনে সফল হয়, সেই শুভেচ্ছাও জানিয়েছি। 

     জিয়াগঞ্জের আমাই পাড়া উদ্বাস্তু বিদ্যাপীঠে তোলা নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)