১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাস্তা মেরামত হয়ে যাবে: ফিরহাদ
বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলকাতা পুরসভার আওতাধীন সমস্ত রাস্তা মেরামতির কাজ শেষ করতে হবে। আধিকারিকদের তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, গত কয়েকদিনের মতো এমন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকলে এই সময়সীমার মধ্যেই রাস্তাঘাটের হাল ফেরানো সম্ভব হবে। তবে তাদের হাতে থাকা রাস্তাগুলির কাজ শেষ করার জন্য পূর্তদপ্তর এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ মহালয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছে। দুর্গাপুজো ও শারদোৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার কলকাতা পুরসভায় বৈঠক করেন মেয়র। সেখানে পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান, পুরসভার শীর্ষ আধিকারিক, পুলিশকর্তা, দমকল কর্তা, সিইএসসি, পিডব্লুডি, বন্দর, কেএমডিএ, রেল সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও বিভাগের প্রতিনিধি। পুজোয় কোন সংস্থা কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, কাদের কী কাজ বকেয়া রয়েছে —সবটাই আলোচনায় উঠে আসে।
সেখানে একাধিক মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান তাঁদের এলাকার রাস্তাঘাটের হাল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় জল জমা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, আগুন ইত্যাদি বিষয়ে। বিভিন্ন ছোটো-বড়ো রাস্তায়, অলিগলিতে তৈরি হওয়া মণ্ডপের উচ্চতা যেন ঠিকঠাক রাখা হয়, যাতে আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি সহজে ঢুকতে পারে, এই বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হয় দমকলের তরফে। মেয়র পারিষদ এবং বরো চেয়ারম্যানরা শহরের নানা পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁদেরও এনিয়ে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করেন দমকলকর্তারা। মেয়র বলেন, ‘পুজোর সময় বৃষ্টি হতে পারে, এটা ধরে নিয়েই আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। পুজোর আগে সমস্ত রাস্তাঘাট মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জল জমার সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা রুখতেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।’ পাশাপাশি, শহরের যেসব রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে, আলাদা করে সেই সড়কগুলির তালিকা পুলিশের কাছে চেয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘পুজোর পর, শীত পড়লেই এই সমস্ত রাস্তা কংক্রিটের ব্লকে মুড়ে ফেলা হবে।’
এদিকে, পুজোর সময় অস্থায়ী শৌচালয় বসানো নিয়ে অসুবিধার কথা তুলে ধরেন অনেকে। তাঁরা জানান, পুজোর সময় মানুষের সুবিধার্থে যে অস্থায়ী টয়লেট দেওয়া হয়, সেখানে কোনও লোক রাখা হয় না। জলও থাকে না। তাই যাঁদের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কাছাকাছি থাকে এই টয়লেটগুলি, তাঁরা খুব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হন। মেয়র তখন বলেন, ‘এবার বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে এই শৌচালয়গুলি পরিষ্কার থাকে ও জল সবসময় পাওয়া যায়।’ সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, এবার পুজোর ক’দিন শহরজুড়ে সমস্ত সুলভ শৌচালয় ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।