• বারুইপুরে প্রগতি সংঘ-পদ্মপুকুর-ভাই ভাই সংঘে থিমের বাহার, পালপাড়ার মণ্ডপে এক একটি মুখ জানাবে হাসি-কান্নার গল্প
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: হাওড়া, হুগলি সেতু হয়ে কালীঘাট, বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর মন্দির ঘুরে ভিক্টোরিয়া, শহিদ মিনার দেখতে হলে এবার পুজোয় যেতে হবে বারুইপুর প্রগতি সংঘে। পুজো কমিটির কর্তা তাপস ভদ্র ও মুকুন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন,  ৩৩ বছরে পড়েছে এই পুজো। বাংলার দুর্গাকে সম্মান জানিয়েছে ইউনিসেফ। তাই এবার আমাদের থিম বিশ্বজয়ের উল্লাসে। মণ্ডপে ঢুকলেই দেখা যাবে পৃথিবীর উপর দাঁড়িয়ে মা দুর্গা। তার নীচে ট্রফি নিয়ে উল্লাসে মেতেছে একদল। শিল্পী সত্যজ্যোতি রাজ বলেন, মণ্ডপে শিল্পের মাধ্যমে একে একে ফুটে উঠবে বেলুড় মঠ, শহিদ মিনার, ভিক্টোরিয়া, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, প্রাচীন বাড়ি থেকে শুরু করে ধর্মতলা। হাওড়া ও হুগলি ব্রিজে ছুটবে হলুদ ট্যাক্সি, দোতলা বাস। দেখানো হবে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের জীবনযাত্রা, তাঁরা কীভাবে মায়ের মূর্তি গড়েন সেই চিত্র।

    অন্যদিকে, বারুইপুর পদ্মপুকুর ইউথ ক্লাবের পুজোয় এবার শোলা ও ওর্নির পটচিত্রের কারুকার্যের মণ্ডপ হচ্ছে। সেখানে ৫০০ ভরি সোনা ও হীরের গয়নায় সাজবেন মা দুর্গা। শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা বলেন, এখানে পরম্পরা থিম শোলার পটচিত্র এবং ওর্নি পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। পুজো কমিটির কর্তা গৌতম দাস বলেন, এবারের পুজো ১০৮ বছরের। বিদ্যাসাগর ও মাদার টেরিজার জীবনীও চন্দননগরের আলোকসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি নানা সামাজিক বার্তাও আলোকসজ্জায় ফুটে উঠবে। বারুইপুর উকিলপাড়া ভাই ভাই সঙ্ঘের পুজো এবার ৫৬ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির কর্তা অলোক নস্কর ও অশেষ মণ্ডল বলেন, এবারের আমাদের থিম ‘পাব্বনের বারো তেরো’। প্লাস্টার অব প্যারিস ও মাটি দিয়ে মণ্ডপ নির্মিত হচ্ছে। বৈশাখ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত বাঙালির বিভিন্ন উৎসব তুলে ধরা হয়েছে। নবান্ন উৎসব দিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করবেন দর্শনার্থীরা। প্রথমেই ফুটিয়ে তোলা হবে, ধান নিয়ে মা দুর্গা। তারপরে একে একে রাস, রথ, দোল থেকে শুরু করে রান্নাপুজো, জন্মাষ্টমী, বড়দিন– সবই দেখানো হবে। কালাচাঁদ রুদ্র পালের সাবেকি মূর্তি থাকবে। পাশাপাশি নানা সামাজিক বার্তাও দেওয়া হবে মণ্ডপের চারদিকে।

    বারুইপুর পালপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজো ৫১ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির পক্ষে নন্দিতা কর্মকার বলেন, এবারের থিম অবয়ব। মানুষের বহুরূপী আবেগ, রং, বৈচিত্রকে রং-বেরঙের মুখের অবয়বে তুলে ধরা হয়েছে। তাতে রয়েছে হাসি, কান্না, যন্ত্রণা। প্রত্যেক মুখ এক একটি গল্প বলছে। বিভিন্ন পুতুল, ঘোড়া, প্যাঁচা সবই মণ্ডপে দেখা যাবে। পুরোপুরি বাঁশ ও প্লাই-এর উপর 

    কাজ হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)