জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজো আসছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও চালু হয়ে গিয়েছে। শহরতলি থেকে সহজেই চলে আসা যাচ্ছে কলকাতায়। ফলে পুজোর সময়ে ভিড় আরও বাড়বে। ষষ্ঠী থেকে দশমী শিয়ালহ ডিভিশনের সমস্ত শাখায় সব গ্যালোপিং ট্রেন সব স্টেশনে থামবে। যাত্রীদের সুবিধার্ধে সিদ্ধান্ত নিল পূর্র রেল।
পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহ ডিভিশনে বিশেষ ব্যবস্থা। উত্সবের মরশুমে রেলপথে যাতায়াত আরও মসূর্ণ করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল পূর্র রেল। আজ, সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল শিয়ালদহ ডিভিশনে ডিআরএমে কনফারেন্স রুমে।
পুজোয় বিশেষ ব্যবস্থা রেলের
পুজোর চারদিন অর্থাৎ ২৮.০৯.২৫ থেকে ০২.১০.২৪ পর্যন্ত শিয়ালদহ ডিভিশনের সব শাখায় সব গ্যালোপিং ট্রেন সমস্ত স্টেশনে থামবে। ট্রেনের সময়সূচি নিবিড় পর্যবেক্ষণ।
.শিয়ালদহ স্টেশনে অতিরিক্ত ১০টি মোবাইল ইউটিএস (UTS)। সচল থাকবে ১৭টি এটিভিএম (ATVM)। ২৪ ঘন্টা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন অতিরিক্ত সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মোতায়েন করা হবে। সর্বক্ষণ চালু থাকবে ২১টি টিকিট বুকিং কাউন্টার।
২৮.০৯.২৫ থেকে ০২.১০.২৫ পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনের কার পার্কিং এলাকা সম্পূর্ণ বন্ধ। প্রয়োজনে গাড়ি রাখার জায়গাটি ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে।
.পুজোর দিনগুলোতে সন্ধ্যা ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রলির চলাচল নিষিদ্ধ।
যাঁরা ঠাকুর দেখতে আসবেন, তাঁদের সুবিধার জন্য দ্রুথ খোলা দেওয়া হচ্ছে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে প্রফুল্ল দ্বার। প্রবেশপথে থাকবে রটি টিকিট বুকিং কাউন্টার এবং চারটি এটিভিএম। সঙ্গে দুটি মোবাইল ইউটিএসও।
এই গেট দিয়ে প্রবেশ করে যাত্রীরা সহজেই মেন লাইনের (রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, নৈহাটি, ব্যারাকপুর ইত্যাদি) ট্রেন ধরতে পারবেন।
দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে নির্দিষ্ট নামার জায়গা থাকবে। যাতে তাঁরা ৯ এবং ১১-১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে সহজেই যেতে পারেন।
ডিআরএম/শিয়ালদহ ডিভিশনের সব স্টেশন থেকে অবিলম্বে সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য শিয়ালদহ-কল্যাণী এবং বালিগঞ্জ-সোনারপুরের মধ্যে ঘন ঘন বিশেষ নৈশকালীন ট্রেন চলবে।
ডিআরএম জরুরি পরিস্থিতিতে স্টেশন-নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
সংকট মোকাবিলায় কৌশলগত স্থানে অতিরিক্ত ইএমইউ রেক প্রস্তুত রাখা হবে।
বারাসত, খড়দহ, বালিগঞ্জ, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, সোনারপুর, বারুইপুর, রাণাঘাট, বহরমপুর ইত্যাদি ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং গেটগুলোতে বিশেষ আরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এই ঝুঁকিপূর্ণ গেটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এই গেটগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীও থাকবে।
শিয়ালদহ, দমদম জংশন, কলকাতা ইত্যাদি ব্যস্ত স্টেশনগুলোতে অতিরিক্ত 'মে আই হেল্প ইউ' বুথ খোলা হবে। মণ্ডপ পরিদর্শকদের সুবিধার জন্য এই বুথগুলোতে হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে সহায়তার জন্য এই বুথগুলোতে পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বরের একটি তালিকাও থাকবে।
সব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ট্রেন নির্দেশিকা ব্যবস্থা এবং যাত্রী ঘোষণা ব্যবস্থা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
পুজোর দিনগুলোতে সব স্টেশনে ২৪X৭ অবিরাম পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
সব স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকবে এবং জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত যন্ত্রও প্রস্তুত রাখা হবে।
শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি, বারাসত ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে চিকিৎসা সহায়তা বুথ থাকবে যেখানে অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার এবং প্যারামেডিকেল স্টাফরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে শিয়ালদহ ডিভিশনের আরও দুই শাখায় চালু হয়ে গিয়েছে AC লোকাল। এখন AC লোকালে যাতায়াত করছেন রানাঘাট-বনগাঁ-শিয়ালদহ ও শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর শাখার যাত্রীরাও। বেড়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। বিধাননগর-কল্যাণী, কল্যাণী-শিয়ালদহ লাইনে একটি করে, আর বারাসত-হাসনাবাদ শাখায় আরও একজোড়া লোকাল ট্রেন চলছে।