স্ত্রী'র কান্না বন্ধ করতে এ কী করলেন স্বামী? চামচে চোখের জল নিয়ে প্রেমের অনন্য নজির, নেটিজেনরা দেখে হাঁ...
আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি ভাইরাল ভিডিও বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক স্বামী তাঁর স্ত্রীর কান্নার কারণ বোঝার চেষ্টা করছে। বেশ হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটি দর্শকদের মুখে মুহূর্তেই হাসি এনে দিয়েছে। এর কারণ এটি সেই পুরনো ধারণাকে কেন্দ্র করে তৈরি - নারীর মন বোঝা অসম্ভব। এটি একটি এমন বিষয় যা দীর্ঘদিন ধরে মনোবিজ্ঞান থেকে শুরু করে ধর্মীয় গ্রন্থ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বিশ্লেষিত হয়ে আসছে।
ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে @dreamboat0227 অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়। এটি ইতিমধ্যেই ৩০.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ অর্জন করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবতী কোনও কারণে কাঁদছেন, আর তাঁর স্বামী একটি চামচ দিয়ে সেই চোখের জল সংগ্রহ করছেন। ঘটনা এখানেই শেষ নয়! স্ত্রী'র কান্নার জল তিনি মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করছেন। এরপর যা দেখা যায়, তা সমাজমাধ্যমে বহু দর্শককে আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছে।
যখন মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণ শুরু হয়, তখন লেন্সে ধীরে ধীরে ভেসে ওঠে কিছু অপ্রত্যাশিত দৃশ্য - যেমন দামি দামি গয়না, রঙিন শাড়ি, বিদেশ সফরের মুহূর্ত এবং এক হাস্যোজ্জ্বল শিশুর ছবি। এই সব ছবি মজার ছলে বোঝাতে চেয়েছে যে স্ত্রী'র কান্না কেবল আবেগ নয়, বরং তাঁর লুকানো ইচ্ছা, চাহিদা ও অপূর্ণ স্বপ্নের প্রতিফলন।
ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা রকম মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া। অনেকে হাসির ইমোজি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কেউ আবার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সূক্ষ্মতা নিয়ে রসিকতা করেছেন।
ঘটনার জেরে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করে বলেছেন, 'কার ঘরে এমন দামী চোখের জল পড়ে?' আরেকজন লিখেছেন, 'রমেশ বাবু, এক ফোঁটা চোখের জলের দাম তুমি বুঝবে কীভাবে?' তৃতীয় একজন হাস্যকর ভঙ্গিতে বলেছেন, 'এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার স্ত্রী'র চোখের জলে পাওয়া যেত বিরিয়ানি, চিকেন রাইস, স্টাইল পুরি, মিল্ক গোয়া আর আইসক্রিম!' একজন তো মজার ছলে এমন এক যন্ত্রের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন, যা আগেই জানাতে পারবে কখন দাম্পত্য কলহ শুরু হবে।
এই ভিডিও একদিকে যেমন নেটিজেনদের মজা দিয়েছে, তেমনই এক ঝলক সমাজে প্রচলিত দাম্পত্য জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলনও দেখিয়েছে -যেখানে কান্নার আড়ালে থাকে অজস্র অনুভব, চাহিদা ও ভালোবাসা।