• সুপ্রিম কোর্টে ডিএ শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শেষ হল ডিএ মামলার শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ। সরকার ও মামলাকারী দুই পক্ষকে লিখিত বয়ান জমা দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়েছে আদালত। অক্টোবরের শুরুতেই রায় ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। মনে করা হচ্ছে, পুজোর পরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর আসতে চলেছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে এই দাবিতে মামলা হয়। সেই সংক্রান্ত মামলায় ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ডিএ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। কেন্দ্রের হারেই রাজ্যকেও ডিএ প্রদান করতে হবে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, রাজ্যকে বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই জন্য ৬ সপ্তাহ সময়ও বেধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে পারেনি রাজ্য। আদালতের কাছ থেকে তারা আরও ৬ মাস সময় চায়। কারণ আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে রাজ্য। বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দও নেই। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায় রাজ্য। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ৪–৭ আগস্ট প্রতি দিনই সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি চলেছে।

    রাজ্যের যুক্তি ছিল, মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তা ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো আলাদা। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয়, তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা করা যায় না। নবান্ন জানায়, বকেয়া ডিএ–র সঠিক অঙ্ক নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কর্মীদের আদতে কত টাকা প্রাপ্য, তার হিসেব কষতে আরও সময় প্রয়োজন। অন্যদিকে, মামলাকারী পক্ষের যুক্তি ছিল, নির্দিষ্ট সময়মতো ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। নিজেদের খুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দেওয়া হোক। এই নিয়ে সওয়াল জবাব সোমবার শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার সব পক্ষকে নিজেদের লিখিত বয়ান জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। পুজোর পরে মামলার রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)