• ‘সমস্যা খাড়া করে কারও লাভ নেই’, ব্রিকস সামিটে শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্পকে তোপ জয়শংকরের!
    প্রতিদিন | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসকের আসনে বসে বিশ্বের উপর শুল্কের ছড়ি ঘোরাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ব্রাজিলে ব্রিকস সামিটে উপস্থিত হয়ে নাম না করেই ট্রাম্পের পাগলামির সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। জানালেন, ‘বাণিজ্যনীতি সর্বদা বৈষম্যহীন ও উভয়ের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে হওয়া উচিত। সমস্যা খাঁড়া করে কারও লাভ নেই।’ একইসঙ্গে ব্রিকসকে একজোট হয়ে বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল করার পক্ষে সওয়াল করলেন জয়শংকর।

    বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন না হওয়া ও রুশ তেল কেনার অভিযোগে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আমেরিকা। ভারতের পাশাপাশি ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছে ব্রাজিলও। তাঁদের উপরও ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা। খামখেয়ালি ট্রাম্পের এহেন আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে খোদ আমেরিকাতেই। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই সোমবার ব্রিকসের ভারচুয়াল বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানেই তিনি কারণ নাম না করে তিনি বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যবসার ধরন ও বাজারে প্রবেশাধিকার। বর্তমান সময়ে এমন এক পরিবেশ দরকার যা বৈষম্যমুক্ত। বাণিজ্যের প্রসারে গঠনমূলক ও সমন্বয়মূলক। সেখানে একে অপরের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকবে। অহেতুক সমস্যা খাড়া করে কারও লাভ নেই।”

    শুধু তাই নয়, বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্রিকসকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জয়শংকর। এপ্রসঙ্গে মূলত ৪টি বিষয়ের উপর জোর দেন জয়শংকর। প্রথমত, সাপ্লাই চেন শক্তিশালী হোক। বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনও রকম সংকটজনক পরিস্থিতি সামলাতে ব্রিকস দেশগুলিকে একজোট হওয়ার আবেদন জানান তিনি। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্যে ঘাটতি কমানো। ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক ঘাটতি রয়েছে। তা দূর করে এবং উভয়ের জন্য লাভজনক পথে হাঁটা উচিত। তৃতীয়ত, বৈশ্বিক সংকটের মোকাবিলা। করোনা, যুদ্ধ ও জলবায়ু সংকটের মতো ঘটনার সমাধান করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ফলে সেই সংস্থাগুলিতে সংশোধন প্রয়োজন। চতুর্থত, রাজনীতি মুক্ত বাণিজ্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাণিজ্যকে। জয়শংকর বলেন, বাণিজ্যে রাজনীতির অনুপ্রবেশ কোনওভাবে কাম্য নয়। ব্রিকস দেশগুলির উচিত নিজেদের মধ্যেকার স্বার্থ দূরে সরিয়ে একজোট হয়ে কাজ করা।

    এই বৈঠকে ভারচুয়ালি উপস্থিত হয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা-সহ মোট ১১টি দেশের সদস্যরা। সেখানে ট্রাম্পকে সামাল দিতে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন শি জিনপিং। বলেন, ‘কিছু দেশ বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছে। তাঁদের কর্মকাণ্ডে গোটা বিশ্বের অর্থব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে এবং সমস্ত বাণিজ্যিক আইনকে দুর্বল করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্রিকসকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)