দলের নেতা-কর্মীদের সামনেই বারাসতের উন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন হাবড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর বারাসতের দলীয় বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী জানালেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে ব্যর্থ! এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ‘কোন্দল’ নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, অনুন্নয়ন-প্রশ্নে তাদের কথারই প্রতিধ্বনি শাসক দলের বিধায়কদের গলাতেও শোনা যাচ্ছে।
বারাসতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি দেবব্রত পাল আয়োজিত শিক্ষক ও কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন, “বারাসতে ‘ভ্যাট’ তৈরি হয়নি। পুর-প্রতিনিধিদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে বিরোধীদের সভায় বাধা দেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না-নেওয়ার কথা কানে আসে। এই সব চলবে না।” এই সূত্র ধরেই ওই মঞ্চেই বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিতের বক্তব্য, “আমি বিধায়ক হিসেবে ব্যর্থ! কিছু আলো ও রাস্তা করতে পেরেছি। আমি অভিনয় করতে পারি, আর সবার শুভানুধ্যায়ী।” প্রসঙ্গত, চিরঞ্জিৎ আগামী বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না বলে আগেই মন্তব্য করেছিলেন। এই আবহে বারাসতের সম্ভাব্য প্রার্থি-পদ নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন, “এটা নেতৃত্ব ঠিক করবেন।”
শাসক দলের বিধায়কদের বক্তব্যকে সামনে রেখে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রাজীব পোদ্দার বলেছেন, “বারাসতে উন্নয়নের থেকে কোন্দলটাই তৃণমূল যে বেশি করে, সেটা ওঁদের বিধায়কেরাই প্রমাণ করলেন।” ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “নাগরিক পরিষেবা যে বেহাল, আমাদের সে কথাই এখন জ্যোতিপ্রিয়ের গলায়। এটা সুমতি না কোন্দল, তা উনিই জানেন!” যদিও বারাসতের পুর-প্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বাম-আমলে কিছু হয়নি। আশা করি, চলতি বছরে ভ্যাট চালু হবে।” দলের বিধায়কদের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার।