• ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করাতে অঙ্ক কষে চলতেই হয়, তাতে যদি বলেন আমি ‘ক্যালকুলেটিভ’, তা হলে তা-ই
    আনন্দবাজার | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বেজ আর খয়েরি রঙের মিলমিশ। তাতে সোনালি সরু জরির আভা। পাঞ্জাবি-পাজামায় ‘বাবু’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। “সাক্ষাৎকার শেষ হলে শ্রাবন্তীকে (চট্টোপাধ্যায়) দেখা করে যেতে বলিস।” এই তিনি ‘দাদাসুলভ’, পরক্ষণেই ‘ইন্ডাস্ট্রি’! “চলুন, শুরু করা যাক”, বলে নিজেই চেয়ার টেনে বসে পড়লেন। পুজোর ছবি ‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে অনর্গল।

    প্রশ্ন: আবার একটা পুজো, আবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি।

    প্রসেনজিৎ: গত পুজোটা মিস্ করেছি। মানে আমরা মিস্ করেছি, দর্শকও আমাকে মিস্ করেছেন। বিভিন্ন কারণে আমরা গত পুজোয় ছবিমুক্তি ঘটাতে পারিনি। তার আগের বছর অবশ্য সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দশম অবতার’ ছিল। এ বছরের পুজোয় দেবীপক্ষে দেবী, ‘দেবী চৌধুরাণী’। বাঙালির জন্য বাংলা ছবি নিয়ে আসছি আমরা।

    প্রশ্ন: আবার ঐতিহাসিক চরিত্রে আপনি।

    প্রসেনজিৎ: (দাড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে ) হ্যাঁ, এর আগে লালন ফকিরের চরিত্রে অভিনয় করেছি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একাধিক উপন্যাস নিয়ে তৈরি ছবিতে অভিনয় করেছি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই প্রথম। এটাই ‘হ্যাঁ’ বলার প্রথম কারণ।

    প্রশ্ন: সারা দিন সমান উৎসাহে, আগ্রহে ফুটতে ফুটতে পুজোর ছবির প্রচার করছেন!

    প্রসেনজিৎ: কেন! নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও দুর্দান্ত প্রচার করছেন। তাঁদের পুজোর ছবি ‘রক্তবীজ ২’ নিয়ে। অনীক দত্ত-ফিরদৌসল হাসানও তাঁদের ছবি ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’-এর প্রচারে ব্যস্ত। দেব তো গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে যাচ্ছে! শুধু পুজো বলে নয়, অন্য সময়েও আমরা এ ভাবেই ছবির প্রচারে ব্যস্ত থাকি। আমরা সবসময়েই চেষ্টা করি মানুষের কাছে পৌঁছোতে। কারণ, এখন মানুষের কাছে পৌঁছোনোর রাস্তাগুলো পাল্টে গিয়েছে। সুবিধাও হয়েছে সেই অর্থে। সমাজমাধ্যম এসেছে, যা আগে ছিল না। এর ফলে আর একটা জিনিস হয়েছে...

    প্রশ্ন: কী সেটা?

    প্রসেনজিৎ: আস্তে আস্তে আবার আমরা শহরের বাইরে বেরোতে পারছি। দেব যেমন গত বছর ‘খাদান’ নিয়ে সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছিল। এ বছর একই ভাবে ‘রঘু ডাকাত’ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে। এটা ইতিবাচক দিক। একটু একটু করে মানুষজন আবার ফিরছেন। আসলে, আমাদেরই তো তাঁদের কাছে গিয়ে বলতে হবে, আমরা তোমাদের কাছে আসছি ছবি নিয়ে। আমাদেরও এই ধরনের ট্যুর আছে। মাঝে গ্রাম বা মফস্‌সল থেকে যেন দূরে সরে গিয়েছিলাম।

    প্রশ্ন: এত এনার্জি পান কোথা থেকে?

    প্রসেনজিৎ: এনার্জিটা তো একা আমার নয়! পুরো দলের লড়াই। মানুষের উন্মাদনা, আবেগ, ভালবাসা— আমাকে উৎসাহিত করে। ওঁরাই আমার ‘এনার্জি’।

    প্রশ্ন: সঙ্গে প্রচণ্ড খিদে, যা আপনাকে ভিন্ন ধারার চরিত্র বাছতে এগিয়ে দেয়।

    প্রসেনজিৎ: অবশ্যই। আমার কাছে সাধারণ চরিত্র নিয়ে এখন আর কেউ আসেনই না! বাংলায় তো নয়ই। (একটু ভেবে) কোনও জায়গাতেই নয়। গত ১৪-১৫ বছর আমি যে ভাবে নিজেকে ক্রমাগত ভাঙছি তাতে সাধারণ চরিত্রের জন্য আর কেউ ডাক পাঠান না। ‘দেবী চৌধুরাণী’র ‘ভবানী পাঠক’ তো উপরি পাওনা, যিনি একাধারে সাধক এবং যোদ্ধা। একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও। যিনি এক নারীর শক্তিস্বরূপ। এই ধরনের চরিত্র ধারণ বা বহন করা খুব কঠিন।

    প্রশ্ন: তাই পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রকে প্রতি পদে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘ঠিক করছি তো রে’?

    প্রসেনজিৎ: পরিচালক আমার থেকে ছোট হন বা বড়— তাঁর ছবিতে যখন কাজ করছি তখন তিনিই দিনের শেষে ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’। এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। ছোট থেকে সেটাই শিখেছি। আমরা অনেকেই হয়তো ছবির জন্য কাজ করি। কিন্তু বিশেষ দৃষ্টি বা ছবি নিয়ে ভাবনার শক্তি একমাত্র পরিচালকেরই থাকে। তাঁর সেই ভাবনা বা চাহিদা মেটাতেই আমার মতো একজন পেশাদারকে বেছেছেন। সেটা পূরণ করতে পারছি কি না, জানতে হবে। তার জন্য পরিচালকের থেকে বারংবার জেনে নিতে হবে।

    প্রশ্ন: আরও পাওনা, সারা বছর প্রত্যেক প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির প্রাইম টাইম শো।

    প্রসেনজিৎ: খুব আনন্দ হচ্ছে। এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই লড়াই আমরা বহু দিন ধরে করেছি। শুরুটা ১৯৯৬ সালে। ২০২৫-এ এসে কাগজেকলমে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে সারা বছর ধরে বাংলা ছবি প্রাইম টাইম শো পাবে। কেন ভাল হয়েছে? কারণ, উৎসব বা ছুটির সময়ে এখনও মানুষ ছবি দেখতে আসেন। ভাল ছবি দেখতে ভালবাসেন। মাঝে অবশ্য অতিমারির পরে একটু ভয় পেয়েছিলাম। ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটেছে। দর্শক আবার হলমুখী। ‘অঙ্ক কী কঠিন’-এর মতো ছবিও তাঁরা দেখতে আসছেন। এই ধরনের ছবির জন্য বাড়তি সময় দিতে হয়। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হয়তো ভাল ফল করা শুরু করে। বাংলা ছবি তো এখনও লোকমুখে প্রচারেই বেঁচে আছে। এই সময়টা অনেক ছবিই এত দিন পায়নি। আশা, এবার সেটা পাবে। এই ধরনের পরিচালকদের জন্য সত্যিই এটা সুখবর। তবে এটাও ঠিক, রাতারাতি কিছু বদল দেখা যাবে না। অনেক বৈঠক করতে হবে নিজেদের মধ্যে। বিশেষ করে একাধিক ছবিমুক্তির সময় এখনও আমাদের মধ্যে পারস্পরিক মনোমালিন্য জন্ম নেয়। পরে যদিও ঠিক হয়ে যায়। এই বিশেষ পদক্ষেপ মনে হয় সেই দিকটাও সহজ করে দেবে।

    প্রশ্ন: এতে উৎসব, ছুটির মরসুমে ছোট বা স্বাধীন পরিচালক-প্রযোজকদের ছবিমুক্তির সুযোগ ঘটবে?

    প্রসেনজিৎ: সে রকম ভাবনা আমাদেরও মাথায় আছে। এ বছর হয়তো হবে না। হতে হতে আগামী বছর। পিয়া সেনগুপ্ত দায়িত্ব নিয়ে সবটা দেখছেন। বৈঠক করবেন আরও। তবে নিশ্চয়ই হবে। পুজো বা উদ্‌যাপনের মরসুমে স্বাধীন বা নতুন পরিচালকদের ছবিও আসা দরকার।

    প্রশ্ন: প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও বাড়াতে হবে, আপনি দায়িত্ব নিয়েছেন।

    প্রসেনজিৎ: দায়িত্ব নয়, চেষ্টা করছি প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়ানোর। এখনই হবে না। সময় লাগবে। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে বড় হয়েছি। ইন্ডাস্ট্রি আমায় অনেক দিয়েছে। ধরুন, আগামী দিনে হয়তো আমার ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনয়ে আসবে। এদের জন্য আমায় তো কিছু করে যেতে হবে! এটা দায়িত্ব নয়, এটাই আমার কাজ। আমি কিন্তু ব্যবসা হিসাবে দেখছি না।

    প্রশ্ন: খবর, তৃষাণজিৎকে বড়পর্দায় শীঘ্রই দেখা যাবে?

    প্রসেনজিৎ: আমি বাবা কিছু বলব না! সময় এলে জানতে পারবেন। তবে এটা বলতে পারি, আমি ওর জন্য কিছু করছি না। এটা ওর জীবনের লড়াই। কী ভাবে সেই যুদ্ধে জিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে— সেটা ওকে ঠিক করতে হবে।

    প্রশ্ন: বর্তমানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে থেকে যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পেয়েছেন?

    প্রসেনজিৎ: আমরা খরার সময়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আজকে সেই জায়গা অনেকটা ভাল হয়ে গিয়েছে। আমরা তো মনেপ্রাণে চাইব, অনেক পরিশ্রম করে যে ফসল বুনেছি সেই ফসলের যথার্থ রক্ষণাবেক্ষণ করবে আগামী প্রজন্ম। সেই জায়গা থেকে দেব অনেক পরিশ্রম করছে। ও একটা নতুন দিক খোলার চেষ্টা করছে, যা দেখে ‘প্রতিবাদ’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর সময়ের কথা মনে পড়ছে। তখন আমাদেরও চেষ্টা ছিল, কী করে ব্যবসা বাড়ানো যায়। কী করে বাংলা ছবিকে আরও বেশি করে দর্শকের কাছে পৌঁছোনো যায়। দেব সেটাই করছে। এটা শুধুই ‘স্টারডম’ নয়! একে দায়িত্ববোধ বলে। একা দেব নয়, জিৎ, অঙ্কুশ— সবাই আছে। এরা প্রত্যেকে লড়াকু। বাংলা ছবির জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াই করছে। দেখে তৃপ্ত আমি। মনে হচ্ছে...

    প্রশ্ন: কী মনে হচ্ছে?

    প্রসেনজিৎ: (একটু থেমে) দেখুন, যত দিন বাঁচব তত দিন আমি তো অভিনয় করবই। কিন্তু আজ থেকে ১৫ বছর পরে হয়তো সব জায়গায় যাওয়ার মতো শরীরে শক্তি থাকবে না। তখন তো ওঁরাই আমার প্রতিনিধি। আমি ওঁদের তখন পরামর্শ দেব।

    প্রশ্ন: শুধুই অভিনয় করবেন‍! ছবি পরিচালনা, প্রযোজনা করবেন না?

    প্রসেনজিৎ: হ্যাঁ করব তো। আগামী বছরে ছবি পরিচালনায় আসছি।

    প্রশ্ন: একদম নতুন মুখ আনবেন?

    প্রসেনজিৎ: সেটা এখনও ঠিক করিনি।

    প্রশ্ন: শিশুশিল্পী হিসাবে কাজের সময় ধরলে ৫৭ বছরের পেশাজীবন! অতীত ফিরে দেখলে কোনও আফসোস, মনখারাপ?

    প্রসেনজিৎ: আফসোস হয় না। মনখারাপ আমাদের জীবনের অঙ্গ। তাই এখন নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করে নিয়েছি যে, জীবনের ওই সময়ের পাতা উল্টোনোর আর চেষ্টা করি না। ওই ভাবে আর মনখারাপ বা দুঃখও নেই। কারণ, আমি তো পরিবারের সবথেকে বড়! আমি মনখারাপ করলে, দুঃখ পেলে ইন্ডাস্ট্রির বাকিদের উপরে তার প্রভাব পড়বে। ওরা খুব দুঃখ পাবে। এই অনুভূতিগুলো তাই মনের মধ্যে রেখে দিই।

    প্রশ্ন: সেটে তাই সকলকে ‘দাদা’র মতো আগলেছেন?

    প্রসেনজিৎ: (হাসি) এটাই আমার স্বভাব। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, দর্শনা বণিক বা অর্জুন চক্রবর্তী— ওদের খুব ভাল করে বুঝি। শ্রাবন্তী একমাত্র অভিনেত্রী, যে আমার ‘মেয়ে’ হয়েছিলেন। পরে নায়িকা। ‘দেবী চৌধুরাণী’তে আবার কন্যাসম! বিবৃতি চটের পোশাক পরে অভিনয় করেছে! ওই গরমে। বুঝতে পারতাম, ওদের কষ্ট হচ্ছে। তাই শুটিং থেকে ব্রেক দিলেই বলতাম, যা, গিয়ে এসি মেকআপ ভ্যানে বোস। নিজে খাওয়ার আগে বরাবর বাকিদের খাওয়া হয়েছে কি না খোঁজ নিই। এ ভাবেই আমি তৈরি।

    প্রশ্ন: এ বছর থেকে উত্তমকুমারের জন্মশতবর্ষের শুরু...

    প্রসেনজিৎ: (থামিয়ে দিয়ে) আগামী বছর থেকে। জেঠুর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয়েছে। আসলে, আমরা বাঙালিরা বোধহয় এগিয়ে থাকতে ভালবাসি (হাসি)।

    প্রশ্ন: আপনি নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু করবেন?

    প্রসেনজিৎ: (রসিকতা করে) এখনই আপনাকে বলব কেন!

    প্রশ্ন: আনন্দবাজার ডট কম-কে এক্সক্লুসিভ দেবেন না?

    প্রসেনজিৎ: (জোরে হাসি) পরের বছর একটা বিশেষ ভাবনা আছে। তবে আমি একা কিছু করব না। সারা বাংলা, সারা পৃথিবীর বাঙালিরা উদ্‌যাপন করবেন সেই বছর।

    প্রশ্ন: উত্তমকুমারের মতো অমরত্বের স্বপ্ন দেখেন?

    প্রসেনজিৎ: ওঁর অমরত্ব ভাষাহীন, বিশ্লেষণের অযোগ্য। উত্তমকুমার সব বিশ্লেষণের ঊর্ধ্বে। (বড় করে শ্বাস নিয়ে) তবে হ্যাঁ, ‘মানুষ’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে যদি আগামী ৫০ বছর লোকে মনে রাখে, তবে আমার জন্ম সার্থক।

    প্রশ্ন: যেমন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অঙ্ক কষে এগোন কি না, প্রভাব বিস্তার করেন কি না— বিশ্লেষণের বাইরে?

    প্রসেনজিৎ: আমার বইয়ে তো লিখেছি, আমি ম্যানিপুলেটিভ, ক্যালকুলেটিভ। যে কোনও পেশায় টিকে থাকতে গেলে অঙ্ক কষতেই হবে, প্রভাব বিস্তার করতেই হবে। যে কোনও কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করতে গেলে এগুলো আপনাকেও করতে হবে। কাল না পরশুই কাউকে বলছিলাম, আমার সম্বন্ধে বলা হয়, আমি নাকি পরিচালকদের উপরে প্রভাব খাটাই! বেশ করি। কারণ, পরিচালকেরাই আমায় সবচেয়ে ভাল চরিত্রগুলো দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কোনও মানুষ ৪৫ বছর ধরে পেশাজীবনে যদি টিকে যেতে পারেন, মনে রাখবেন, সেটা তিনি একা করেননি। সকলকে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন বলে করেছেন। একটা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখতে এটাই করতে হয়। আমিও সেটাই করেছি। ইন্ডাস্ট্রির সকলকে নিয়ে চলেছি। তার জন্য দরকারে আমি ‘ক্যালকুলেটিভ’, ‘ম্যানিপুলেটিভ’।

    প্রশ্ন: এ বছরের পুজোর ‘নাম্বারিং’ কি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়?

    প্রসেনজিৎ: (জোরে হাসি), এ বছর তো আবীরের দুটো ছবি মুক্তি পাবে। (একটু থেমে) আমি আর কোনও দৌড়ে নেই, প্রতিযোগিতায় নেই। ১, ২, ৩ নাম্বারিংয়েও নেই। আমি শুধু বেছে বেছে ভাল ভাল চরিত্রে অভিনয় করে যাব। যা ভাল সেটা তো দিনের শেষে এই ইন্ডাস্ট্রিরই হবে। সেটা আমি করি, দেব করুক বা আবীর। এখানে প্রতিযোগিতা কোথায়?
  • Link to this news (আনন্দবাজার)