• বাঁকুড়া-আরামবাগ-পুরুলিয়া: মাসের প্রথমে পকেট গরম, চাঙ্গা পুজোর বাজার, শপিংমল থেকে দোকানে ভিড়
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া, আরামবাগ ও পুরুলিয়া: চলতি সপ্তাহেই বেতন হাতে এসেছে। তাই রবিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগে পুজোর বাজার জমে উঠেছে। এদিন তিন শহরের বাজারে যেমন জমজমাট ভিড় ছিল, তেমনি বিভিন্ন শপিংমলেও অনেকে কেনাকাটা সারেন।

    এদিন বাঁকুড়া শহরের চকবাজার, রানিগঞ্জ মোড়, ভৈরবস্থান মোড় সহ বিভিন্ন বাজারের জামাকাপড়ের দোকানে ভিড় চোখে পড়ে। পোশাকের পাশাপাশি জুতোর দোকানেও ভিড় দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়ার পাশাপাশি বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, ওন্দা, বড়জোড়া, রাইপুর, খাতড়ার বাজারেও পুজোর কেনাকাটা হয়েছে। ক্রেতা ঝুমুর মালাকার, শ্রীকান্ত গোস্বামী বলেন, এদিন মাসের প্রথম রবিবার ছিল। গত সোমবার থেকে কমবেশি সবাই বেতন পেয়েছেন। কেউ কেউ পুজোর বোনাসও পেয়ে গিয়েছেন। তাই ছুটির দিনে বাজারে অনেকেই এসেছেন। পুজোর বাজারে শুরুর দিকে কেনাকাটা করলে বেছে বেছে জিনিস কেনা যায়। শেষদিকে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায় না। তাই বাঁকুড়া শহরে এসে কেনাকাটা সারলাম। আরও কিছু কেনাকাটা বাকি আছে। পরের রবিবার তা সারব।

    বাঁকুড়ার এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বলেন, নিম্নচাপের বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরমের কারণে গতমাসে বাজারে ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা ছিল না। ফলে বিক্রিবাটাও ভালো হয়নি। রবিবার এমনিতে বাঁকুড়া শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকে। তবে পুজোর আগে একমাস ধরে আমরা দোকান খোলা রাখি। আশা করছি, পরের রবিবার থেকে বাজার আরও জমে উঠবে।
    পুরুলিয়া শহরের কাপড়গলি, চকবাজার, দেশবন্ধু রোডের ফুটপাতে এদিন ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যানজট সামাল দিতে ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। ভিড় ছিল বিভিন্ন স্থায়ী দোকান ও শপিংমলেও। রবিবার শহরের দেশবন্ধু রোডের একটি শপিংমলে সপরিবারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সৌমেন ভট্টাচার্য। পরিবারের কার কী লাগবে, একেবারে ফর্দ করে এনেছিলেন তিনি। সৌমেনবাবু বলেন, পুজোর বাজারে না ঘুরলে পুজো পুজো গন্ধটাই পাওয়া যায় না।

    আরামবাগেও এদিন পুজোর বাজার জমে ওঠে। বিভিন্ন কাপড়ের দোকান, শপিংমলে ক্রেতারা পোশাক কিনতে ভিড় জমান। পছন্দের শাড়ি কিনতে মহিলাদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। আরামবাগ শহরে একাধিক শপিংমলে বিকেলের পর থেকে ভিড় হতে থাকে। অন্য দোকানেও কমবেশি ক্রেতাদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকা থেকেও অনেকে আরামবাগ শহরে এসে বাজার করেছেন। পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রী ও জুতো ভালো বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা সম্প্রীতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়েই গোঘাট থেকে আরামবাগে এসেছি। শাড়ি কিনব। অপর ক্রেতা শিল্পা সামন্ত বলেন, শাড়ি কিনতে এসেছি। আগে বিভিন্ন ধরনের কালেকশন দেখব। তারপর কেনা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)