• ভোট দিলেন মোদি, আজই ধনখড়ের উত্তরসূরি পাবে দেশ, ভাইস প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে কত পয়েন্টে এগিয়ে কে?
    আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে রাধাকৃষ্ণণ, অন্যদিকে বি সুদর্শন রেড্ডি । আজ মুখোমুখি দু' জনে। কিছুক্ষণেই ঠিক হয়ে যাবে দেশের পরবর্তী উপ রাষ্ট্রপতি কে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভোট দিয়েছেন খোদ মোদি। 

    এই গোটা প্রক্রিয়ার সূত্রপাত অবশ্যই জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা। জুলাই মাসে, আচমকা মেয়াদ শেষের আগেই ইস্তফা দেন পূর্ববর্তী উপরাষ্ট্রপতি। যদিও কারণ হিসেবে তিনি ব্যক্তিগত কারণকেই উল্লেখ করেছিলেন, তবে তা নিয়ে জল্পনা হয়েছে দেশের রাজনীতিতে বিস্তর। জগদীপ ধনখড়ের পর, ওই আসনে বসবেন কে? তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই সামনে আসে দুই প্রার্থীর নাম। 

    উপরাষ্ট্রপতি পদের লড়াইতে সিপি রাধাকৃষ্ণণকে প্রার্থী করেছে এনডিএ। দক্ষিণী অস্মিতাকে উস্কে দেওয়া হয়েছে। জোটের ধর্ম মানতে গিয়ে কার্যত দ্বিধায় পড়েছিল ডিএমকে। অন্যদিকে পাল্টা দক্ষিণী তাস খেলেছে বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটও। তারা প্রার্থী করেছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে। তিনি আবার অবিভক্ত অন্ধপ্রদেশের ভূমিপুত্র। আজ, মুখোমুখি দু' জনে। 

    সংখ্যার দিক থেকে দেখলে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে আছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্বাচনী কলেজের মাধ্যমে। শূন্যপদ বাদে বর্তমান নির্বাচনী কলেজের ৭৮২ জন সদস্য রয়েছে। এর অর্থ হল বিজয়ী দলের কমপক্ষে ৩৯২ ভোট থাকা প্রয়োজন।

    লোকসভায় এনডিএ-র ২৯৩টি এবং রাজ্যসভায় ১৩৩টি আসন রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে দেখলে, বিজেপি স্বাচ্ছন্দ্যে সিপি রাধাকৃষ্ণণকে উপরাষ্ট্রপতির কুর্সিতে বসাতে পারবে। বিরোধী দল, অর্থাৎ কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লকের ভোট মাত্র ৩১৫, যার মধ্যে আম আদমি পার্টির ১২ জন সাংসদ রয়েছেন যারা বিচারপতি রেড্ডিকে সমর্থন করতে পারেন। তবে, সেই ১২ জনের মধ্যেও মতবিরোধ থাকতে পারে। ফলে সংখ্যার বিচারে কে কোনখানে থামবেন, তা নিয়ে এখনও দ্বিমত রয়েছে। যদিও, এই ভোটে বিজেপির লক্ষ্য কেবল জিতে যাওয়া নয়, বিজেপির লক্ষ্য অবশ্যই মার্জিন বাড়ানো।

    মার্জিন প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় ৩৪৬ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। ফলে বিজেপিকে নিজেদের রেকর্ড, ভাঙতে হবে নিজেদের।সূত্রের খবর গেরুয়া শিবির এবার জোর দিচ্ছে, 'ম্যান টু ম্যান মার্কিং'-এ। বিজেপি সাংসদদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়েছে যারা সকালে জড়ো হবেন এবং দিনভর একসঙ্গেই থাকবেন, যাতে বিরোধীরা কোনওভাবেই বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারেন কিংবা ভোট কাটতে না পারেন কোনও ভাবেই।

    সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন রাজনাথ সিং-ও। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং গণনা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টার পর। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি মোটামুটি সহজ। নির্বাচিত বা মনোনীত সকল সাংসদ ভোট দিতে পারবেন। তাঁরা গোপন ব্যালটে ভোট দেন, যার অর্থ প্রত্যেকেই তাঁদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারবেন।

     
  • Link to this news (আজকাল)