• 'প্রিয় মমতা দিদুন, মাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেবে', মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আর্জি ৫ বছরের ঐতিহ্যর ...
    আজকাল | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মা কর্মসূত্রে দূরে থাকেন। ছেলে থাকে বাবা ও তার দাদুর সঙ্গে। তাই মাকে যাতে তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি লিখে আর্জি জানালো বছর পাঁচেকের ঐতিহ্য দাশ। তার এই চিঠি এই মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকলেই চমকে গেছেন আবেগপ্রবণ নাবালাকের পদক্ষেপ দেখে। 

    মুখ্যমন্ত্রীকে 'প্রিয় মমতা দিদুন' সম্বোধন করে ঐতিহ্য লিখেছে। সেই চিঠিতে সে লিখেছে, 'আমার নাম ঐতিহ্য দাশ। বয়স পাঁচ‌। আমার বাড়ি আসানসোল। আমার মা উত্তর দিনাজপুরের প্রাইমারি দিদিমণি। তাই আমাদের ছেড়ে ওখানে থাকে। অনেকদিন পর পর বাড়ি আসে। আমি বাবা আর দাদুর সাথে বাড়িতে একা থাকি। আমার খুব কষ্ট হয় মাকে ছাড়া। আমার মাকে খুব ভালোবাসি। তুমি তাড়াতাড়ি মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। আর যেন আমাকে ছেড়ে না যায়। ইতি তোমার আদরের ঐতিহ্য।' 

    কেন এই চিঠি ঐতিহ্য মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছে সে প্রশ্নের জবাবে সে জানিয়েছে, তার মাকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হয়। মা বলেছে একমাত্র 'মমতা দিদুন' মাকে কাছে এনে দিতে পারে‌। সেজন্যই সে এই চিঠি লিখেছে। যদি মুখ্যমন্ত্রী তার কথা শোনেন, তাহলে কি ঐতিহ্য আবার মমতাকে চিঠি লিখবে? উত্তরে সে জানিয়েছে, হ্যাঁ লিখবে। তখন সে লিখবে 'ধন্যবাদ মমতা দিদুন'। 

    ঘটনা প্রসঙ্গে ঐতিহ্যর মা স্বাগতা পাইন জানান, তিনি নিজেও ছেলের এই আচরণে অবাক।‌ তাঁর কথায়, 'আমার পোস্টিং উত্তর দিনাজপুরে। আমি যে ব্যাচে চাকরি পেয়েছি সেখানে অনেকেই দূরে দূরে পোস্টিং হয়েছে। ফলে নিজের জেলায় ট্র্যান্সফার হতে চেয়ে আমরা সরকারের কাছে চিঠি লিখে আবেদন জানাই। সেটা ছেলে খেয়াল করে এরকম কাজ করে থাকতে পারে।' 

    স্বাগতা পাইন জানান, 'আমরা সকলেই অবাক, ও কীভাবে জানলো, কীভাবে লিখল এই চিঠি। আমরা যে ব্যাচে চাকরি পেয়েছি, প্রায় ছয় হাজার বাইরে ও দূরে পোস্টিং পেয়েছি। আমরাও চিঠি লিখেছি বহুবার। ছেলের হয়তো মনে হয়েছে, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। বাড়িতে কোনও মহিলা সদস্য নেই। সারাদিন ও একাই থাকে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানিয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যদি এই দূরাবস্থা থেকে আমাদের ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করে দেন, আমরা খুবই বাধিত থাকব ওঁর প্রতি।' 

    তবে তিনি জানান, ছেলে যেহেতু ছোট এবং তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে সেজন্যই তিনি ছেলেকে উত্তরবঙ্গে নিয়ে থাকতে পারেন না। কারণ, শীতের সময় সেখানে ঠান্ডাটা তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, তিনি একা নন। তাঁর মতো এরকম অনেক মা আছেন। যাঁরা তাঁদের সন্তানদের দূরে রেখেই চাকরি সামাল দিচ্ছেন। স্বাগতা জানান, অনেকেই কোলের শিশুকে বাড়িতে রেখে দূরে দূরে চাকরি করতে যান। সকলের ট্রান্সফারের ব্যবস্থা যেন শীঘ্রই হয়। 
  • Link to this news (আজকাল)