কাঠমাণ্ডু-শিলিগুড়ি বাস বন্ধ, নেপাল ইস্যুতে সতর্ক নবান্ন, দার্জিলিঙেও কড়া নজরদারি
আজ তক | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালের পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই ২০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু কাঠমান্ডুতেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে সুনসারি জেলায়। আহত ৩০০-রও বেশি। কাঠমান্ডুর মৈতিঘরে সোমবার ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তাদের মূল দাবি, স্বচ্ছতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।
বিক্ষোভের সূত্রপাত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যানকে কেন্দ্র করে। নেপাল সরকার ২৭টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যদিও প্রবল আন্দোলনের মুখে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। কার্ফু জারি করেও থামানো যায়নি ‘জেন জেড’ আন্দোলন।
সরকারের ভূমিকা অসন্তোষ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন নেপালেন মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। ইস্তফা দিয়েছেন নেপালের কৃষিমন্ত্রী রামনাথ আধিকারী। তিনি প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর দমননীতির বিরোধিতা করে পদ ছেড়েছেন। তার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক নৈতিক দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে ক্রমেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে প্রতিবেশী দেশে।
এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। রাষ্ট্র সংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর হানা সিঙ্গার-হ্যামডি নিহতদের পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। দুই পক্ষকেই সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতও। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, 'আমরা নেপালের পরিস্থিতিতে নজর রাখছি। বহু তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের বিশ্বাস, দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান করবে।' বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, কাঠমান্ডুসহ একাধিক শহরে কার্ফু জারি হওয়ায় নেপালে এই মুহূর্তে যে ভারতীয় নাগরিকরা আছেন, তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। সেখানকার প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার সুপারিশ করা হয়েছে।