• সুচিত্রা-মিঠুন আসতেন ভাগ্যগণনা করাতে, পুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, হরিপালের ‘কারকুন’ বাড়িতে ৪০০ বছরের উৎসব
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: হরিপাল শ্রীপতিপুর মুখোপাধ্যায় বাড়িতে পা পড়েছে বহু বিখ্যাত ব্যক্তির। এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, সুচিত্রা সেন, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালের মতো অভিনেতারা। এই বাড়ির বিখ্যাত মানুষ ছিলেন বদ্রীনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি জ্যোতিষ ছিলেন। ছিলেন পণ্ডিত। তাঁর কাছে ভাগ্যগণনা করাতে আসতেন বিখ্যাতরা। এসেছেন রাজনৈতিক জগতের অনেকেও। 

    মুখোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোর বয়স প্রায় ৪০০ বছর। শুরু করেছিলেন গুরুদাস মুখোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন বর্ধমানের রাজার  সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক, হিসাবরক্ষক। তত্ত্বাবধায়ক, হিসাবরক্ষককে ‘কারকুন’ বলা হতো। সে কারণে এই পুজো কারকুন বাড়ির পুজো নামে পরিচিত। লেখক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়(বনফুল) এই পরিবারের আত্মীয়। বর্ধমানের মহারাজ ছিলেন ধর্মপ্রাণ। হুগলি জেলার বেশিরভাগ বনেদি বাড়ির পুজোয় বর্ধমান রাজার অবদান রয়েছে। কারকুন বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা একচালার। ডাকের সাজ। নবমীতে বলি দেওয়ার প্রচলন আছে। পরিবারের তরুণ ও সংগ্রাম মুখোপাধ্যায় এবং দেবদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, গুরুদাস মুখোপাধ্যায় যেভাবে পুজোর সূচনা করেছিলেন আজও একই নিয়মে তা হয়ে চলেছে। আড়ম্বর না থাকলেও নিষ্ঠা রয়েছে। বদ্রীনাথ মুখোপাধ্যায় এ বাড়ির গর্ব। 

    ১৯৭০ সালে তিনি দেহত্যাগ করেন। আজও ওঁর নামে এই বাড়ির পরিচিতি। পুরনো মন্দিরটি পরিবর্তন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বাড়ির প্রভাস মুখোপাধ্যায় বিহারে পুলিশের চাকরি করতেন। সে বছর তিনি পুজোর দায়িত্বে। ছুটি না থাকায় বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। ফলে পুজোর আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে প্রভাসের বিশ্বাস, দেবীর কারণেই শেষ মুহূর্তে ছুটি মঞ্জুর হয়। নির্বিঘ্নেই সম্পূর্ণ হয় সেবারের পুজো। আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ দেবীকে জাগ্রত বলে মানেন। প্রতিবছর বহু মানুষের সমাগম হয়।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)