পিয়ালী মিত্র: নোপালে জেন জি-র বিক্ষোভে পুলিসের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন বিক্ষোভকারী। তাতে তরুণ সমাজের বিক্ষোভ তো কমেইনি বরং মঙ্গলবার সকাল থেকেই শাসকদল, বিরোধীদলের নেতাদের বাড়িতে জড়ো হয় ভাংচুর শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা। বিরোধী দলনেতা প্রচন্ডর বাড়ির সামনেও জড়ো হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির বাড়ির উপরে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও মহল থেকে এমনটাও বলা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী ওলির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এমনও শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে আজই দেশ ছাড়তে পারেন প্রধানমন্ত্রী ওলি।
এদিকে এরকম এক পরিস্থিতিতে, নেপালের আঁচ যাতে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় না পড়ে তার জন্য নজরদারি বাড়িয়েছে রাজ্য পুলিসও। অতিরিক্ত ফোর্স বাড়ানো হয়েছে শিলিগুড়ির নিকটবর্তী পানিট্যাঙ্কি-সহ নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। তৈরি রাখা হয়েছে স্পেশালাইজড ফোর্স।
নেপালে গতকালের ঘটনা নজরে আসতেই জরুরি বৈঠক করেন পুলিস কর্তারা। শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেপালের গোলমাল যাতে এরাজ্য কোনওভাবেই না পড়ে। গতকাল গোটা পরিস্থিতি নিয়ে দার্জিলিংয়ে এসপি ও নর্থ বেঙ্গলের আইজির সঙ্গে কথা বলেন ডিজি।
অন্যদিকে, বিদেশমন্ত্রকের তরফে নেপালের উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে যারা গুলিতে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদন রইল। প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হোক। ওখানে কারর্ফিউ চলছে। নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে।