সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জননিরাপত্তা আইনে (PSA) গ্রেপ্তার জম্মু ও কাশ্মীরের একমাত্র আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিক। জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ডোডার সরকারি কর্মীরা। এরপরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই মালিককে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার কোনও বিধায়ককে পিএসএ আইনে গ্রেপ্তার করা হল।
২০২৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে ডোডা আসন থেকে জয়ী হন আপের মেহরাজ মালিক। উপত্যকায় আপের প্রথম জয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি সরকারি কর্মীদের গালিগালাজ করেছেন, ত্রাণ ও উন্নয়নের কাজে বাধা দিয়েছেন। এমনকী ডোডা জেলায় যুবসমাজকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। যার জেরে বিক্ষোভ দেখান ডোডার সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ ওই বিধায়ক ডোডার ডেপুটি কমিশনার হরবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন। এই ঘটনার জেরে হরবিন্দর সিংয়ের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ককে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত বিধায়ক মেহরাজ মালিকের বিরুদ্ধে ১৮টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পিএসএ আইন ব্যবহৃত হয় কোনও অঞ্চলের শান্তি ও শাসন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত এই আইনের আওতায় বিনা অভিযোগে বা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখার অনুমতি দেয়। ফলে ওই বিধায়কের জেলবন্দি হওয়া কার্যত নিশ্চিত। প্রসঙ্গত, মালিকের বিরুদ্ধে বিতর্ক অবশ্য প্রথমবার নয়, চলতি বছরের এপ্রিম মাসে হিন্দুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তিনি। বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রনধাওয়া তখন মালিকের বিরুদ্ধে পিএসএ-র অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই পিএসএ ধারায় গ্রেপ্তার হলেন কাশ্মীরের আপ বিধায়ক।