২০২৯ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গান্ধী! আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস নেতা শিবকুমার
প্রতিদিন | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৯ লোকসভা ভোটের পর দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন রাহুল গান্ধী। এমনটাই মনে করছেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগেও এমনই দাবি করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের লড়াইতে নেমেছিল কংগ্রেস। যদিও লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে এনডিএ শিবিরের আসন সংখ্যার আশেপাশেও যেতে পারেনি কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটসঙ্গীরা। মাত্র ৯৯ টি আসনেই থামতে হয়েছে হাত শিবিরকে। অবশ্য তাতে যে বিশেষ চিন্তিত নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার।
সদ্যই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ”দেশে পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই ২০২৯ সালে রাহুল গান্ধীই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।” প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অবনতির জন্য বিজেপিকে দায়ী করে শিবকুমার জানাচ্ছেন, ”এখন কেউই আর ভারতের বন্ধু নয়।” উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার আরও জানাচ্ছেন, কর্ণাটকের প্রচলিত রাজনৈতিক পালাবদলের সংস্কৃতি এবার বদলাতে চলেছে। তিনি নিশ্চিত ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কর্ণাটকে ক্ষমতা ধরে রাখবে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়ে সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদদের সঙ্গে নিয়ে দিল্লির রাজপথে নেমেছেন খোদ রাহুল গান্ধী। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে ভোটচুরি করছে বিজেপি। যে কাজে শাসকদলকে সাহায্য করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। সামনেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তারপর একের পর এক রাজ্যেও বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কড়া টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করবে কংগ্রেস। পুরনো ব্যর্থতা ভুলে ২০২৯ সালের দেশের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই যে আগামী দিনে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছে কংগ্রেস তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডি কে শিবকুমার।