অর্ণব আইচ: কোথাও বস্তা, কোথাও প্যাকেট, কোথাও আবার এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা নোটের তাড়া, যে কেউ সহজে সন্দেহ পর্যন্ত করবে না। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের চোখকে ফাঁকি দেওয়া এত সহজ নয়! সোমবার জেলায় জেলায় বালি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইডির হাতে এল নগদ অন্তত ৯০ লক্ষ টাকা। সেসবের উৎস কী? কীসের বিনিময়ে এত নগদ বাড়িতে জমিয়েছে কীভাবে? এর সঙ্গে ‘হাওয়ালা’ যোগ আছে কি না, এসব প্রশ্ন উঠছেই। তার সন্ধানে নেমেছেন ইডি তদন্তকারীরা।
মেদিনীপুরের ব্যবসায়ী সৌরভ রায় ও ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জাহিরুলের বাড়িতে সোমবার তল্লাশি চালিয়ে রীতিমতো তাজ্জব ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের বাড়িতে বস্তা, প্যাকেট ভর্তি নগদ! এছাড়া বাড়ির আনাচকানাচে লুকিয়ে রয়েছে নোটের তাড়া। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সেসব উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, গোপীবল্লভপুরে থেকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা মিলেছে। সিংহভাগই পাওয়া গিয়েছে মেদিনীপুরে সৌরভের বাড়িতে। এখন প্রশ্ন হল, এসব নগদ টাকার উৎস কী? কোথায় কোথায় এসব টাকা ছড়ানো হয়েছে?
সামান্য সাইকেল মিস্ত্রি থেকে রাতারাতি বড় ব্যবসায়ী বনে যাওয়া গোপীবল্লভপুরের শেখ জাহিরুল বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আর মেদিনীপুরের সৌরভ ঠিকাদার থেকে তড়িৎগতিতে হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী। এসবের জেরেই ইডির স্ক্যানারে পড়েন তাঁরা। সোমবার তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদের উৎস খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সবই কি বালিপাচারের টাকা? কার বা কাদের মদতে এই পাচারচক্র চলছে? এসব নগদের সঙ্গে হাওয়ালা যোগ আছে কিনা, দেশ-বিদেশের কোথাও সেই টাকা পাচার হয়েছে কিনা, এসব তথ্য খুঁজছে ইডি।