• ‘প্রজ্ঞাদের ছাড়া যাবে না’, বম্বে হাই কোর্টে মামলা মালেগাঁও বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের
    এই সময় | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বিজেপি নেত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ ৭ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। সোমবার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।

    নিসার আহমেদ সৈয়দ বিলাল-সহ মোট ৬ জন এনআইএ আদালতের রায় বাতিলের দাবি করে বম্বে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন। তাঁদের দাবি, এই রায় ‘আইনের দৃষ্টিতে ত্রুটিপূর্ণ’, তাই বাতিল করা উচিত।

    ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁওয়ের ভিকু চকে একটি মোটর সাইকেলে বিস্ফোরণ হয়। তখন ছিল রমজান মাসে। তদন্তে জানা যায়, মোটরবাইকে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ছিল। ঘটনাচক্রে, নিহতরা সবাই মুসলিম সম্প্রদায়ের। বিস্ফোরণে একটি হিন্দু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত আছে বলে অভিযোগ ওঠে। মালেগাঁও বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতেই ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ শব্দবন্ধের জন্ম বলা যেতে পারে।

    বিচার চলাকালীন ৩২৩ জন সরকারি ও ৮ জন বিপক্ষের সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। ১০,৮০০ সাক্ষ্যপ্রমাণ জমা পড়ে কোর্টে। প্রায় ১৬ বছর ধরে চলে মামলা। শেষে গত জুলাই মাসে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ৭ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত।

    বিচারক একে লাহোটি জানান, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্দেহ জোরালো হয় ঠিকই, কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা অকাট্য ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেশ করতে এবং যুক্তিসঙ্গত সংশয়ের উর্ধ্বে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালতের কথায়, ‘সমাজের বিরুদ্ধে গুরুতর একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে আদালত কাউকে কেবল নৈতিক ভিত্তিতে শাস্তি দিতে পারে না।’

    সোমবার বিস্ফোরণে নিহত ৬ জনের পরিবারের সদস্যরা বম্বে হাই কোর্টে মামলা করেন। তাঁদের দাবি, তদন্তে ত্রুটি বা খামতি থাকলেই অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া যায় না। ষড়যন্ত্র সাধারণত গোপনে হয়, তাই তার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া সব সময়ে সম্ভব নয়।

    পিটিশনকারীরা আরও দাবি করেছেন, ৩১ জুলাই বিশেষ এনআইএ আদালত যে রায় দিয়েছে, তা ভুল এবং আইনের দৃষ্টিতে ত্রুটিপূর্ণ। তাই তা বাতিল করা উচিত। হাইকোর্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এএস গড়করীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)