'কথা বন্ধ করলেই শেষ করে দেব', যেমন কথা তেমন কাজ! বিবাহিত তরুণীকে একা পেয়েই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটাল প্রেমিক
আজকাল | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: জঙ্গল থেকে উদ্ধার দুই মহিলার মৃতদেহ। তাঁরা একে অপরের বন্ধু ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার থেকেই দুই যুবতী নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। অবশেষে তাঁদের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায়। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাওয়ান থানার অন্তর্গত এলাকা দিয়ে দুই যুবতীই নিখোঁজ হন। সোমবার সন্ধ্যায় গোলগো পাহাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পরেই খারসান জেলার বাসিন্দা শ্রীকান্ত চৌধুরী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতেরা হলেন সোনি দেবী (২৩) এবং রিঙ্কু দেবী (৩১)। দুজনেই নীমাধী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দুই বান্ধবীকে খুনের অভিযোগে শ্রীকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দুই বান্ধবীর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানা যাবে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোনি বিবাহিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও শ্রীকান্ত চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যে সম্পর্কের জেরে গত দুই বছর আগে গ্রামে ব্যাপক অশান্তিও হয়েছে। পঞ্চায়েত ডেকে বিষয়টি মিটমাট করা হয়। সোনির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর জন্য শ্রীকান্তকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। এত অশান্তির পরেও সোনি ও শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক ভাঙেননি।
সোনির পরিবার জানিয়েছে, দিন কয়েক আগেই শ্রীকান্ত তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। কথা বন্ধ করলে, যোগাযোগ না রাখলে সোনিকে খুন করবেন বলে হুমকি দেন। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী বান্ধবীর সঙ্গে জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন সোনি। তারপর দুজনের কেউই আর বাড়ি ফেরেননি। দুইদিন পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন সোনির মা। শ্রীকান্তের উপর যে সন্দেহ ছিল, তাও পুলিশকে জানান। এমনকী সোনির ফোনটিও পুলিশকে দেন।
এরপরই শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় খুনের ঘটনাটি তিনি স্বীকার করে নেন। এমনকী দেহ দুটি কোথায় রয়েছে, তাও পুলিশকে জানান। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামের বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ঝাড়খণ্ডে। ঘটনাটি ঘটেছিল রাঁচিতে। গত আট বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত গীতা ও ইরফান। যা ঘিরে বারবার আপত্তি জানিয়ে অশান্তি করতেন লুম্বা। দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে লুম্বাকে দুধের মধ্যে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে দেন। পাশাপাশি মদের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন।
গত ২০ আগস্ট রাতে কাঁকে অ্যাগ্রিকালচার গেটের বাইরে ইরফান ও লুম্বা মদ্যপান করেন। সেই সময়েই ওই মাদক মেশানো দুধ ও ঘুমের ওষুধ মেশানো মদ খাইয়ে যুবককে অজ্ঞান করে দেন। এরপর গাড়িতে তুলে, লুম্বার শ্বাসরোধ করে খুন করেন ইরফান।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত দেড় বছর ধরে ইরফানের সঙ্গেই বসবাস করেন গীতা। লুম্বার তথ্য, গতিবিধি জানার জন্য, বাড়ির মধ্যে সিসিটিভি লাগিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দুজনের ফোন, সিম কার্ড, গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং ওই দুধের ও মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে এখনও তদন্ত জারি রয়েছে।