• বালি পাচার মামলার তদন্তে নেমে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার ইডির
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বালি পাচার মামলায় সোমবার রাজ্যের ২২টি জায়গায় হানা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মেদিনীপুরের এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৬৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির বাড়ি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরারা।

    সোমবার সকালে আচমকা প্রায় একসঙ্গে রাজ্যের ২২টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। এদিন সকাল ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শিরোমণি ৫ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত যমুনাবালিতে ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরার। তবে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ঝাড়গ্রামে সৌরভের একাধিক বালি খাদান রয়েছে। লালগড়ে থাকা তাঁর বাংলো ও অফিস থেকে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ইডির আরও একটি দল সৌরভের বাড়িতে এসে পৌঁছয়।

    স্থানীয়রা অনুমান করেছিলেন, সৌরভের বাড়ি থেকে কিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই আরও একটি দল তাঁর বাড়িতে এসেছে। প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারীরা সৌরভের বাড়ি থেকে বের হন। জানা যায়, সৌরভের বাড়ি থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা, মোবাইল, একাধিক জরুরি নথি ও মাইনিং সক্রান্ত কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি দুইটি বড় ব্যাগে ভরে নিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেরোন ইডি আধিকারিকরা।

    অন্যদিকে, সোমবার গোপীবল্লভপুরের শেখ জহিরুল আলি নামে আর এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি করে ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুরের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কলকাতার বেশ কয়েকটি ঠিকানাতেও বালি পাচার মামলায় অভিযান চালায় ইডি।

    উল্লেখ্য, বালি পাচার মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বর্তমানে তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, অবৈধ বালি পাচারের টাকা কোথায় গেল? আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বালি খাদান লিজ নিয়ে বেআইনিভাবে বেশি পরিমাণ বালি তোলা হয়েছে। আর এভাবেই বিরাট অঙ্কের টাকা তছরুপ হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বেআইনিভাবে বালি পাচারের মুনাফা জিডি মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের ঘরে গিয়েছে। এই বিষয়ে জানতে সোমবার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় ইডি।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)