অর্ণব দাস, বারাকপুর: বউকে মেরে ফেলেছি! চার বছরের ছেলের হাত ধরে পালানোর সময় বাবাকে এমনই ভয়ংকর কথা বলেছিল স্বামী। এরপরই কাঁচরাপাড়ার ভূত বাগানের ক্ষুদিরাম পল্লির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বধূর দেহ। ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কেন এই হত্যাকাণ্ড? নেপথ্যে উঠে আসছে পরকীয়ার তত্ত্ব।
মৃতার নাম অঙ্কিতা বর্মণ মণ্ডল। তাঁর স্বামী কৌশিক। কাঁচরাপাড়ার ভূত বাগানের ক্ষুদিরাম পল্লির বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দম্পতির এক সন্তানও রয়েছে। জানা যাচ্ছে, পেশায় মুদি দোকানের কর্মী ছিলেন কৌশিক। তাঁর সন্দেহ ছিল, পরকীয়ায় জড়িয়েছে স্ত্রী। তা নিয়ে প্রায়ই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হত। সোমবার বিকেলেও অশান্তি হয়। এরপর সন্ধ্যায় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বের হয় কৌশিক। তখনই বাবাকে বলে, “বউকে মেরে ফেলেছি।” বৃদ্ধ বাবা ছেলের মুখে একথা শুনে আঁতকে ওঠেন। তবে তিনি বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করেননি। তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন পরিচিতদের।
এরপর রাতে ঘরের তালা ভাঙতেই মেঝে থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হন অঙ্কিতা। প্রথমে তাঁকে প্রথমে কাঁচরাপাড়ার রেল হাসপাতালে, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ নিয়ে মৃতার বাবা বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার পান্ডুয়া থানার বৈঁচি এলাকার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কৌশিককে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, পরকীয়া সন্দেহে গলা টিপে স্ত্রীকে খুন করেছে অভিযুক্ত।