‘বাধা সৃষ্টি করে কোনও লাভ হবে না’, ব্রিকস-এর বৈঠকে ট্রাম্পের শুল্কনীতির নিন্দায় জয়শঙ্কর,
বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ভারত সহ একাধিক দেশের উপর চড়া হারে শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। সোমবার ব্রিকস গোষ্ঠীর ভার্চুয়াল বৈঠকে নাম না করে এবিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে একহাত নিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। স্পষ্ট জানালেন, বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাণিজ্য প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া হওয়া উচিত। অযথা বাধা ও জটিলতা সৃষ্টি করে কোনও লাভ নেই। একইসঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলির একজোট হয়ে কাজের পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে হোয়াইট হাউস। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। একই পরিমাণ শুল্ক চাপানো হয়েছে ব্রাজিলের উপরেও। এরই প্রেক্ষাপটে সোমবার আলোচনায় বসেছিল ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি। বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যর ভিত্তি হওয়া উচিত একটি মুক্ত, স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত ও বৈষম্যহীন ব্যবস্থা। বাজারে প্রবেশাধিকারও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য বিশেষ নিয়ম থাকা উচিত।’
এরপরেই নাম না করে মার্কিন শুল্কনীতির নিন্দায় সরব হন জয়শঙ্কর। বলেন, ‘স্থিতিশীল বাণিজ্যের জন্য গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাণিজ্যে বাধা ও জটিলতা বাড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। বাইরের কোনও বিষয় বাণিজ্যনীতির সঙ্গে যুক্ত করাও ঠিক নয়।’ একইসঙ্গে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘বারবার বাধা এলেও বাণিজ্য প্রক্রিয়াকে অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। ব্রিকসের বহু অংশীদারের মধ্যেই এব্যাপারে ঘাটতি রয়েছে। এটই ভারতের চিন্তার কারণ। আমরা সবসময় দ্রুত সমস্যা মেটানোর পক্ষে।’
জয়শঙ্করের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চীন সহ একাধিক সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে একে অপরের কাছে এসেছে ভারত, চীন ও রাশিয়া। এদিন জয়শঙ্করের সুরেই একজোট হয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেন চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছে। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। লঙ্ঘিত হচ্ছে বাণিজ্য সংক্রান্ত আইন। ব্রিকস দেশগুলির একজোট হয়ে লড়াই করা উচিত।’