বন্যা বিধ্বস্ত পাঞ্জাব ও হিমাচল সফরে মোদি, আকাশপথে ঘুরে দেখলেন বিপর্যস্ত এলাকা
বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিমলা ও চণ্ডীগড়: প্রবল বর্ষণে বিপর্যয়। কার্যত নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ। মঙ্গলবার বন্যা বিধ্বস্ত এই দুই রাজ্য সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আকাশপথে ঘুরে দেখলেন বিপর্যস্ত এলাকাগুলি। এদিন হিমাচলের জন্য ১৫০০ কোটি ও পাঞ্জাবের জন্য ১৬০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও দুই রাজ্যেই দুর্যোগে মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
চলতি মরশুমের শুরু থেকে মুষলধারে বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে হিমাচল ও পাঞ্জাব সহ উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্য। ক্রমেই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। লাগাতার বৃষ্টিতে একের পর এক ধস, হড়পা বানে বিধ্বস্ত হয় হিমাচলের একাধিক এলাকা। সেইসঙ্গে বন্যা। চলতি দুর্যোগে পার্বত্য এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৭০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে বহু পরিবারকে। হিমাচলের কাংড়ায় বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি।
এদিন হিমাচলের মান্ডি, কুল্লু ও চম্বা ঘুরে কাংড়ায় পৌঁছন মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান হিমাচলের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতৃত্বও। প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, চলতি বিপর্যয়ে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এরপরই ১৫০০ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করেন মোদি। আবাস যোজনার মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা যেন সাধারণ মানুষ পান তা নিশ্চিত করতে বলেন মোদি। এদিকে, বিপর্যস্ত হিমাচলের পাশে দাঁড়িয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, অসম, হরিয়ানা, ত্রিপুরা এবং উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্যগুলি হিমাচলকে ৫ কোটি টাকা অনুদানের কথা জানিয়েছে। পাঞ্জাবকেও একইভাবে ৫ কোটি টাকা অনুদান পাঠাবে দিল্লি, গোয়া, গুজরাত ও হরিয়ানা। এদিন বিকেলে পাঞ্জাব পৌঁছন মোদি। আকাশপথে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা ঘোরার পর গুরদাসপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন। পাঞ্জাবের জন্য ১৬০০ কোটি টাকা সাহায্যের কথা জানান মোদি। এদিকে, দুই রাজ্যেই বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দু’দিনে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।