• মোদি-শাহর কেন্দ্রে ভোট চুরির নথি জোগাড়ে তৎপর কংগ্রেস
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সন্দীপ স্বর্ণকার নয়াদিল্লি: ভোট চুরির অভিযোগ নিয়ে যেমন দলকে সজাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তেমনি ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটানোর হুমকিও দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিজেপি তথা মোদি সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতার এই হুমকি। কিন্তু কী সেই হাইড্রোজেন বোমা? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।  দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার রাহুলের চোখ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেন্দ্র। অর্থাৎ, মোদির বারাণসী ও অমিত শাহের গান্ধীনগর। 

    এই দুই কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটার ধরার কাজেই দলকে দিনরাত এক করে গবেষণার কাজে নামিয়েছেন রাহুল। সেই মতো দলের রিসার্চ টিম কাজ করছে। সময় মতোই বারাণসী এবং গান্ধীনগর নিয়ে বোমা ফাটাবেন তিনি। বারাণসীতে বসেই করতে পারেন সাংবাদিক সম্মেলন। তারই প্রস্তুতি চলছে। সেটিই কি তবে রাহুলের হাইড্রোজেন বোমা? এআইসিসি অবশ্য  তা খোলসা করছে না। জিইয়ে রেখেছে রহস্য। 

    ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাণসীতে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসের অজয় রাইকে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ১১৬ ভোটের মার্জিনে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০২৪ সালে সেই ব্যবধান ব্যাপক হারে কমেছে। দু’বার প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও সেই একই অজয় রাইকে হারাতে পেরেছেন মাত্র ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫১৩ ভোটে। ২০১৯ সালে অজয় রাই পেয়েছিলেন পেয়েছিলেন মাত্র দেড় লক্ষের কিছু বেশি ভোট। কিন্তু পাঁচ বছর সেই তিনিই পান ৪ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের সমর্থন। তাই 

    চব্বিশে বারাণসীতে মোদির জয়ের পিছনে কি কোনও ভুয়ো ভোটার কাজ করেছে? তা নিয়েই নির্বাচন কমিশনের নথি, ভোটার তালিকা দেখে তথ্য বিশ্লেষণে নেমেছে কংগ্রেস। 

    অন্যদিকে, গান্ধীনগরে গত দুটি নির্বাচনে অমিত শাহর জয়ের মার্জিন ক্রমশ বেড়েছে। কংগ্রেসের ভোট কমেছে। তাই সেখানেও কোনও জাল ভোটার জুড়েছে কি না, চলছে খোঁজ। তবে স্রেফ মোদি-শাহর কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটারই নয়। গোটা দেশে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) শুরু হলে কী করে ভোটার তালিকা থেকে অহেতুক নাম কাটা আটকানো যায়, তার প্রশিক্ষণ শুরু করেছে কংগ্রেস। রা঩জ্যে রা঩জ্যে দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। ইনিউমারেশন ফর্ম কীভাবে ফিলাপ করতে হয়, কীভাবে ভোটার তালিকা পরীক্ষা করতে হয়, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজেও নামানো হয়েছে দলীয় কর্মীদের। এদিকে, বিহারের আসন্ন নির্বাচনে দলের স্ট্র্যাটেজি কী হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন রাহুল, খাড়্গে সহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। একইভাবে আগামী ১৫ তারিখ বিহারের নেতৃত্বকে নিয়ে হবে বৈঠক।
  • Link to this news (বর্তমান)